চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এবার ইউনিয়নকেন্দ্রিক টিকাকেন্দ্র

ইমাম হোসাইন রাজু 

১৪ মার্চ, ২০২১ | ১২:২০ অপরাহ্ণ

টিকাদানের ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো। এতদিন শুধুমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রম চলছিল। এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলেও করোনা সুরক্ষার টিকা পৌঁছে দিতে এবার প্রতিটি ইউনিয়নে টিকাদান কেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগসহ প্রশাসনকে তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যদিকে, ইউনিয়নে কেন্দ্র নির্বাচনে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের। যারা এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। আর কেন্দ্র নির্বাচনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীঘ্রই টিকাদান চালু হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম চালু করতে নির্দেশনা পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমরাও সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের প্রস্তুতি গ্রহণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে রবিবার মিটিংও হবে। আশা করছি, শীঘ্রই ইউনিয়ন পর্যায়েও টিকা কার্যক্রম চালু করা যাবে।’

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে ‘প্রত্যান্ত অঞ্চলেও টিকাদান পরিকল্পনার’ কথা জানিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক পূর্বকোণে। এরমধ্যে পরদিন ৮ মার্চ এ ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নির্দেশনা দেন জাতীয় ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস এন্ড ডেপ্লয়মেন্ট কোর কমিটির চেয়ারপার্সন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

যাতে উল্লেখ করা হয়, মাতৃ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ১০ বা ২০ শয্যা হাসপাতাল, পরিবাল কল্যাণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণকে করোনা ভ্যাকসিনের বুথ স্থাপন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন/সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশিক্ষিত ভ্যাকসিনেট ভোলান্টিয়ারগণ টিকাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। দুর্গম এলাকা সমূহের জনগণকে টিকাদান কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্ত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক ক্যাম্পেইন আয়োজন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী/র‌্যাব/বিজিবি/পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা নেয়া যেতে পারে। একই সাথে ভ্যাকসিন পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলা হয়।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বিদ্যমান এ কর্মসূচিতে নগরীর ১১টি থানা ও ১৪ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চলছে টিকাদান। কিন্তু অনেকেই নিবন্ধন সম্পর্কেও অবগত না থাকায় নগরের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলের মানুষগুলো এখনও পুরোপুরি টিকার আওতায় আসতে পারেনি। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী এবার ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেবাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষদের নিবন্ধন ব্যবস্থাসহ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট