পুরো বিশ্বে করোনা এক বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। মানুষের জীবন রক্ষার্থে অনেক দেশেই আরোপ করা হয় লকডাউন। স্থবির হয়ে পড়েছিল মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় অবশেষে আগমন ঘটল করোনাভ্যাকসিনের। মানুষের মাঝে নতুন করে আশার সঞ্চার ঘটল।
এরই মধ্যে সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছে। তবে করোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘিরে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাইড ইফেক্টের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাঁচার তাগিদে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
তাই বিশেষজ্ঞদের মতে ভ্যাকসিন নেয়ার পর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা যাবে। কারণ, টিকার প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না। এর ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। সেক্ষেত্রে নিজেকে আগে থেকে তৈরি করাটা জরুরি।
এজন্য যে কাজগুলো করতে হবে-
# দিনে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পরিবর্তে সমপরিমাণ ফলের রসও খাওয়া যেতে পারে। পানির চাহিদা মেটাতেই এ পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
# প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এজন্য যে করেই হোক কাজের ফাঁকে সময় বের করতে হবে। দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট মর্নিং কিংবা ইভিনিং ওয়াক করতে হবে।
# সকালবেলা গায়ে রোদ লাগাতে হবে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করা দরকার। সেই সুবাদেই ছাদে কিংবা মাঠে গিয়ে সূর্যের তাপ দেহে লাগানো যায়। এতে শরীর-মন চনমনে থাকে।
# পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
# বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কেননা মহামারী এখনও নির্মূল হয়নি।
# প্রতিদিনের ডায়েটে মৌসুমি ফল ও সবজি রাখতে হবে। নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ফলমূল খেতে হবে।
# বাইরে থেকে এসে পরহিত পোশাক-আশাক পরিষ্কার করতে হবে। ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে সেগুলো কাচঁতে হবে।
# ডায়েট চার্টে হলুদ, তুলসি পাতা, মধু, আখরোট, কাজুবাদাম রাখতে হবে। কাজের ফাঁকে এগুলো খাওয়া যায়।
# যারা ডায়াবেটিস রোগী, টিকা নেওয়ার পর অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণের ডায়েট মেনে চলতে হবে তাদের। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পূর্বকোণ/এএ