চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় মসুরডাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২১ | ৭:৫২ অপরাহ্ণ

‘মাছে-ভাতে’ বাঙালি বলা হলেও ডাল ছাড়া খাবার অনেকটাই অপূর্ণ। সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়দিন মাছ থাকলেও ডাল চাই প্রায় প্রতিদিন। শরীরের জন্য প্রোটিন খুব জরুরি। রোজকার খাবার তালিকায় তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখা খুব প্রয়োজন।

প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডাল। আমিষ ও নিরামিষাশী সবার ক্ষেত্রেই প্রোটিনের প্রয়োজন মেটায় ডাল। এ ডালের মধ্যে অন্যতম হলো মসুর ডাল। শুধু আমাদের দেশেই নয়, গোটা পৃথিবীজুড়েই এটি খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। মসুর ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকমের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার।

এই ডাল সুস্বাদুই শুধু নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মসুর ডালের মতো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া এই ডাল ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটা বিরাট উৎস, যা হার্টকে আরও বেশি শক্তিশালী করে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের সর্বত্র রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি প্রবাহ করতে সাহায্য করে।

এতে উচ্চ মাত্রার এটা দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে ধমনীকে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া শরীরে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। ফলে এটি হজমে সহায়তা করে।

এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্ষুধা হ্রাস পাওয়াসহ ভরাপেটের অনুভূতি থাকবে দীর্ঘক্ষণ। খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ। ডালে একসঙ্গে আয়রন ও ফলেট দুটিই পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট