চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এলার্জি, হাঁপানি, দাঁত ব্যথা

মহৌষধ হরিতকীর গুঁড়া-রস

হেলথ ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০২১ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি নাম হরিতকী। নানা গুণে ভরপুর হরিতকী ফল। এ ফল কাঁচা ও শুকনো দুইভাবে খাওয়া যায়। শুকনো অবস্থায় তিতা ও টক স্বাদের হয়ে থাকে। কিন্তু তিতা হলেও নিয়মিত কাঁচা বা শুকনো অবস্থায় এ ফলের বিচি পানিতে ভিজিয়ে পানি পান করলে নানা রোগে থেকে মুক্তি মিলে।

হরিতকীতে অনেক রোগের মহৌষধ বলা হয়। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ একটি ফল। হরিতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃদপি- ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। এটি পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক।

হরিতকী কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হরিতকীতে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরিতকী । হরিতকী পানিতে ভিজিয়ে পানি পান করলে অল্প সময়ের মধ্যে অ্যালার্জি রোগ থেকে মুক্তি মিলে। হরিতকী গুঁড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকবে। এ গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। দাঁতে ব্যথা দূর হতে হরিতকী গুঁড়া ভালো কাজে লাগে।

রাতে শোয়ার আগে অল্প বিট লবণের সঙ্গে ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। এটি জন্ডিস ও ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে। ফলের রস জ্বর, কাশি, হাঁপানি, ঢেকুর উঠা, বর্ধিত যকৃত ও প্লীহা, বাতরোগ ও মূত্রনালীর অসুখেও বিশেষ উপকারী। ফুসফুস ও শ্বাসনালী রোগে আক্রান্ত হলে হরিতকীর গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত খালি পেটে পান করলে অল্পতেই সমস্যার সমাধান হয়। ঘন ঘন পানির তৃষ্ণা কিংবা বমি বমি ভাব কাটাতেও হরিতকী ব্যবহৃত হয়।

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট