বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বের অন্তত ১০০ কোটি মানুষেরই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি আছে এবং তারা এ সমস্যাকে গ্লোবাল হেলথ প্রবলেম বলে আখ্যায়িত করেছে। আর এ সংকট মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় সঠিক নিয়ম ও সময় দিয়ে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা।
রোদের দেশেও কেন ভিটামিন ডি ঘাটতি?
ডা. মাহমুদা হোসেন বলেছেন, শহরে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে, কিন্তু যারা বেরুচ্ছে তারাও পর্যাপ্ত সময় রোদে থাকে না কিংবা রোদে থাকলেও পোশাকের কারণে শরীর সরাসরি রোদ পাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিশেষ করে শহর এলাকাগুলোতেই বেশি হচ্ছে। কারণ, এখানে বাইরে খোলা জায়গা কম- যেখানে মানুষ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকতে পারে। ‘আবার যারা বেরুচ্ছে, তারা কিন্তু হয় যানবাহনে বা রোদে হাঁটলেও পোশাকে পরিপূর্ণ ঢাকা থাকছে।’
রোদে কখন কীভাবে থাকতে হবে?
মাহমুদা হোসেন বলেছেন, সানলাইট বা সূর্যের আলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। সাধারণত সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়টুকুতে সূর্যের আলোর সাথে যে রশ্মি আসে, সেটাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। তিনি বলেন, শারীরিক সক্রিয়তা এবং সাথে সূর্যের আলো- এগুলো সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
সূর্যই কি ভিটামিন ডির একমাত্র উৎস?
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন ডির অন্যতম উৎস। সূর্য যখন প্রখর থাকে, তখনই অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছায়। কিন্তু এর বাইরে দুধ, কুসুমসহ ডিম এবং চর্বিযুক্ত খাদ্যে ভিটামিন ডি থাকে। মাহমুদা হোসেন বলেছেন, এর বাইরে কারও ভিটামিন ডি দরকার হলে প্রয়োজনে চিকিৎসক সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ দিতে পারেন। তিনি বলেন, বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক বেশি, তাই বয়স্কদেরও রোদে যাওয়া উচিত ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য।
যদিও শুধু খাবার থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে। তবে মাছ, ডিম, দইয়ের মতো খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে।
পূর্বকোণ/এএ