চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

খাবারে এই মৌল না থাকলে হতে পারে মারাত্মক সব রোগ

অনলাইন ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২০ | ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

কোভিড আক্রান্তদের অনেকেই সেরে ওঠার পর বেশ কিছুদিন ক্লান্তিতে ভোগেন। তবে অনেকেই আছেন যাঁদের করোনা ভাইরাস স্পর্শ করতে না পারলেও দিনভর ঘুম ঘুম ভাব, কোনও কাজেই বিশেষ উৎসাহ পান না। কিংবা যত্ন আত্তি করা সত্ত্বেও হু হু করে চুল ঝরে যাচ্ছে। আবার কম খেয়ে ওজন বাড়ছে আর বারবার ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েও ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে। এ সব উপসর্গের মূল কারণ খাবারে আয়োডিনের অভাব।

আয়োডিন এমন একটা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য জরুরি। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস হল খাবারের এমন এক উপাদান যা অত্যন্ত অল্প পরিমাণে খাবারে থাকলেই শরীরের চাহিদা মেটে।

ল্যানসেটে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ১৯০ কোটি মানুষের দৈনিক খাবারে আয়োডিনের অভাব আছে। এঁদের মধ্যে ২৮.৫ কোটি স্কুলের বাচ্চা। নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা প্রতিরোধ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আয়োডিনকে রোজকারের খাবারের তালিকায় রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছে, জানালেন ইন্টারন্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক অর্পণ চৌধুরী। আয়োডিনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশে ১৯৮৪ সালে নুনে আয়োডিন মেশানো বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়। তখন থেকেই সাধারণ নুন সোডিয়াম ক্লোরাইডে সামান্য পরিমাণে সোডিয়াম বা  পটাসিয়াম আয়োডাইড মিশিয়ে দেওয়া হয়। অর্পণ চৌধুরী বললেন যে খাবারের মাধ্যমে আয়োডিন পেতে গেলে একজন মানুষকে হাতির সমপরিমাণ খাবার খেতে হবে।

সম্ভব নয় বলেই বিশ্বের অনেক দেশেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশ মেনে নুন, আটা ইত্যাদি রোজকার কিছু খাবারের প্যাকেটে আয়োডিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সি ডিজঅর্ডার সম্পর্কে বিশ্বের সব দেশের মানুষকে সচেতন করতে হু উদ্যোগী হয়েছে ১৯৬০ সাল থেকেই। আমাদের দেশের চিকিৎসক ও পুষ্টি বিজ্ঞানীরা তখন থেকেই এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। আর এই জন্য ২১ অক্টোবর দিনটিকে ‘গ্লোবাল আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সি প্রিভেনশন ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট