চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

৭ নভেম্বর, ২০২০ | ১:৩৮ অপরাহ্ণ

ইলিশ মাছ স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টি গুণেও ভরা। আমরা সাধারণত দুই ধরনের ইলিশ খেয়ে থাকি। একটি মিষ্টি পানির ইলিশ, অন্যটি গভীর সমুদ্রের ইলিশ। এরমধ্যে পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি পানির ইলিশ। যেমন পদ্মা নদীর ইলিশ খুবই সুস্বাদু। সরষে ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ দোপেঁয়াজা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ ভাজা, ভাপা ইলিশ, ইলিশের মালাইকারি- এমন নানা পদের পছন্দের খাবার রয়েছে। এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটর রয়েছে। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।

ইলিশ মাছে পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণই বেশি। এছাড়া এই মাছ খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়, রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, বাত বা আর্থারাইটিস কম হয় ও ডিপ্রেশন বা এংজাইটি ডিসঅর্ডারও কম হয়। একটি মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। ১শ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন। জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো। সেলেনিয়াম আবার এন্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে।

এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণ। ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের তেল হার্টের জন্যও খুব ভালো। যাদের হাইপার কোলেস্টরল আছে, তারাও এই মাছটি মাছ খেতে পারেন। কারণ তা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে দেয়। এলডিএল বেড়ে গেলে কিন্তু হার্টে সমস্যা হতে পারে। ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। বিশেষ করে ভিটামিন ডি খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়। তাই অস্টিওপোরোসিসের জন্যও ইলিশ মাছ খুব ভালো। তাছাড়া এই মাছ ক্যান্সার প্রতিরোধক, হাঁপানি উপশমেও উপকারী। আবার সর্দি কাশির জন্যও ভালো।

 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট