চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মধুমাসের ফলে সয়লাব বাজার

মরিয়ম জাহান মুন্নী

১০ জুন, ২০১৯ | ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ/ পাকা আমের মধূর রসে রঙিন করি মুখ’
জ্যৈষ্ঠ মাস মানেই ঝড়ের মাস । এই মাসেই গাছে গাছে পাকা আম ঝুলে। আর পাকা আমের মৌ মৌ গন্ধ যেন সর্বত্র। জ্যৈষ্ঠকে তাই মধু মাসও বলা হয়ে থাকে। শুধুই কি আম! জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, কচি তাল, কামরাঙা, পাইন্যাগুলা , করমচা, ঢেউয়া, মাইল্যামসহ রকমারি দেশি ফলে বাজার এখন সয়লাব। । এসব ফল কেবল খেতে যে মজা তা নয়,এগুলো ভরা অনেক দ্রব্যগুণে। গতকাল নগরীর স্টেশন রোডে দেখা যায় জ্যৈষ্ঠের পাকা ফলে ভরপুর বাজার। এখানের আড়তদার থেকে পাইকারি দামে এসব ফল নিয়ে যায় খুচরা দোকানিরা। স্টেশন রোডের পাইকারি ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রবি বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দারবান ও রাজশাহী, দিনাজপুর থেকে আম, কাঁঠাল ও লিচু আসছে। যখন বাজারে এসব ফল নতুন আসছে তখন একটু বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে আম ও কাঁঠালের পুরো সিজন হওয়ায় এখন দাম কমেছে। এখান থেকে পাইকারি বিক্রেতারা
। ৭ম পৃষ্ঠার ৩য় ক.­

শতকরা হিসাবে আম, কাঁঠাল ও লিচু কিনে নিয়ে যায়। বড় আকারের একশ কাঁঠাল নয়-দশ হাজার টাকা। মাঝারিগুলো সাত থেকে আট হাজার টাকা এবং ছোটগুলো পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করছি। নগরীর বিভিন্ন বাজারে সেই পাইকারি বিক্রেতারা ফলগুলো খুচরা দামে বিক্রি করে। বাজারে একটা কাঁঠাল একশ টাকা থেকে চারশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। আম কেজি একশ টাকা থেকে ১৫০, ১৮০, ২০০ টাকা ও একশ লিচু ১৫০ টাকা, ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কথা হয় চকবাজারের ফল বিক্রেতা মাসুদ লিটনের সাথে। তিনি বলেন, আম লিচু ও কাঁঠাল ফল মানুষের প্রিয় ফল। তাই সিজনাল ফল হিসেবে ক্রেতাদের কাছে আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচুর চাহিদা বেশি। আবার এখন বাজারে নতুন ফলের মধ্যে এসেছে জাম এফলটি কেজি দেড়শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
রাহাত্তার পুল এলাকার বাসিন্দা ক্রেতা মো. আবদুল হক বলেন, পরিবারে সবাই জাম, আম ও লিচু খেতে খুব পছন্দ করে। সিজনাল ফল হিসেবে এফলগুলো খাওয়া দরকার। কারণ এফলগুলোতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব পুষ্টিগুণ আছে। তবে বর্তমানে ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফরমালি মেশানো হচ্ছে। মানুষ আসলে কাদের ওপর আস্থা রাখবে? বাজারে কলা, আম, পেঁপে, পেয়ারা থেকে শুরু করে আপেল, আঙুর, নাশপাতিসহ দেশি-বিদেশি প্রায় সব ফলেই মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। সাধারণ ফল-মূলের উজ্জ্বল রঙ ক্রেতাদের নজর কাড়ে, সেগুলো বিক্রিও হয় বেশি দামে। তাই অপরিপক্ব ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড এবং তা উজ্জ্বল বর্ণে রূপান্তর করার জন্য অধিক ক্ষার জাতীয় টেক্সটাইল রঙ ব্যবহার হচ্ছে অবাধে। ফল গাছে থাকা থেকে বাজারে বিক্রি করা মুহূর্ত পর্যন্ত এক একটি ফলে ছয় দফা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। মূলত গ্যাস জাতীয় ইথাইলিন ও হরমোন জাতীয় ইথরিল অতিমাত্রায় স্প্রে করে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করার কারণেই ফলগুলো রীতিমতো বিষে পরিণত হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট