চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হার্ট এটাক ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় জলপাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ অক্টোবর, ২০২০ | ২:০৪ অপরাহ্ণ

বাজারে এখন প্রচুর জলপাই। সাধারণত জলপাইয়ের আচার সবাই পছন্দ করে। আবার জলপাইকে ডালের সঙ্গে দিয়ে রান্না করে খেতেও পছন্দ করে অনেকে। কাঁচা জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন জলপাই খাওয়ার অভ্যাস করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত্র ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলও খুব স্বাস্থ্যকর।
হৃদযন্ত্রের জন্য জলপাই খুবই কার্যকর। কোনো মানুষের রক্তে ক্ষতিকর মুক্ত কণিকা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট এটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জলপাইয়ের তেল হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। কালো জলপাই ভিটামিন-ই এর বড় উৎস। ক্ষতিকর মুক্ত কণিকা ধ্বংস করে। ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। জলপাইয়ের ভিটামিন-ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। কালো জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ত্বকে ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ করে জলপাই। জলপাইয়ের মনোস্যাচুরেটেড চর্বিতে থাকে প্রদাহবিরোধী উপাদান। বয়সের কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল। জলপাই রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতি ১শ’ গ্রাম জলপাইয়ে খাদ্যশক্তি ৭০ কিলোক্যালরি, ৯ দশমিক ৭ শর্করা, ৫৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি থাকে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট