চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: করোনার টিকা আসতে আরও ১৬ মাস সময় প্রয়োজন

করোনার টিকা মূল্যায়নের ল্যাব হচ্ছে বাংলাদেশে

পূর্বকোণ ডেস্ক

২ অক্টোবর, ২০২০ | ১০:০২ অপরাহ্ণ

বিশ্বে যতগুলো করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে সেগুলো থেকে ‘ তুলনামূলক ‘সবচেয়ে কার্যকর ভ্যাকসিনটি’ নির্বাচন করতে গ্লোবাল ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই)। প্রাথমিকভাবে যে ছয়টি দেশের ল্যাবের সঙ্গে সিইপিআই কাজ করবে তার একটি থাকবে বাংলাদেশে।

শুক্রবার  রয়টার্সের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং ভারতের ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত হবে সিইপিআই। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্ক থেকে বিজ্ঞানী এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো হেড-টু-হেড মূল্যায়ন করে সবচেয়ে ভালো ভ্যাকসিনটি বেছে নিতে পারবে।

ল্যাবের ঘোষণা দেয়ার আগে সিইপিআই-এর ভ্যাকসিন আর & ডি বিভাগের ডিরেক্টর মেলানিয়া সাবিল রয়টার্সকে বলেছেন, ‘একটি ভ্যাকসিনের সঙ্গে আরেকটি ভ্যাকসিনের কীভাবে তুলনা করা যায়, সেই চিন্তা থেকে এই আইডিয়া এসেছে।’ ‘ল্যাবগুলো কভিড-১৯ রোগের সম্ভাব্য টিকার প্রাথমিক ট্রায়ালের নমুনা বিশ্লেষণ করে এক জায়গায় আনবে। যেন সব ট্রায়াল একই ছাদের নিচ্ছে হচ্ছে।’ সাবিল বলছেন, ‘যখন কোনো নতুন রোগের টিকা তৈরি শুরু হয় প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে তৈরির চেষ্টায় থাকে। তারা আলাদা-আলাদা প্রটোকলে কাজ করে।’

‘কেন্দ্রীয়ভাবে ল্যাব থাকলে আমরা সহজে ভ্যাকসিনগুলো মূল্যায়ন করতে পারব। বুঝতে পারব কোন শট সবচেয়ে ভালো’ ভ্যাকসিন তৈরির সময় সাধারণত ল্যাবগুলো নিজেদের মতো করে হিউম্যান ট্রায়ালের ডেটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে। কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, কতটুকু নিরাপদ সেটি অন্যরা প্রাথমিকভাবে জানতে পারে না। সিইপিআই বলছে, সাধারণ একটি প্রটোকলের অধীনে সব ডেভেলপার বিনা মূল্যে তাদের এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। এই মুহূর্তে নেটওয়ার্কের অধীনে বিভিন্ন ট্রায়ালের প্রথম দুই ধাপের ডেটা মূল্যায়ন করা হবে। সামনের কয়েক মাসে চূড়ান্ত অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের ডেটা মূল্যায়নেরও ব্যবস্থা করা হবে। নেটওয়ার্ক থেকে যে ফলাফল পাওয়া যাবে তা ডেভেলপারদের কাছে পাঠানো হবে।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট