চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সাড়ে ১৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ২:২৫ অপরাহ্ণ

এক সময় দেশে রাতকানা রোগে আক্রান্তের হার ছিল ৪ শতাংশের ওপরে। কিন্তু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে সেটা এখন নেমে এসেছে এক শতাংশের নিচে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে না। বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একই সাথে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তার পাশাপাশি সর্বোপরি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। এমন অবস্থায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় পুষ্টি সেবা কর্তৃপক্ষ।

এরমধ্যে নগরীরসহ চট্টগ্রাম জেলায় সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিশুকে খাওয়ানো হবে এ ভিটামিন ক্যাপসুলটি। যার মধ্যে শুধুমাত্র ১৪ উপজেলায় ৮ লাখ ১৯ হাজার ১৭৯ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে এ ক্যাপসুলটি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এ সময় ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের চাহিদাপত্রও পাঠিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ক্যাম্পেইনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে এতোদিন দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইন পালন করা হলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা দুই সপ্তাহব্যাপী করার নির্দেশনা দেয়া হয়। দুই সপ্তাহে চারদিন করে কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সাথে ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এ ক্যাপসুল খাওয়াতেও নির্দেশনা দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যে জানা যায়, জেলার ১৪ উপজেলায় লাল ও নীল রঙের সর্বমোট ৮ লাখ ১৯ হাজার ১৭৯টি ‘এ’ ক্যাপসুলের চাহিদা দেয়া হয়। আর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ‘এ’ ক্যাপসুলের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। এর মধ্যে উপজেলার সবচেয়ে বেশি চাহিদা দেয়া হয় ফটিকছড়িতে। যেখানে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুলের চাহিদা দেয়া হয় ৯০ হাজার ৯২টি এবং নীল রঙের চাহিদা দেয়া হয় ৯ হাজার ২০০টি।

এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি পূর্বকোণকে বলেন, ‘এ’ ক্যাপসুলের ফলে শিশুরা রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা ও নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জাতীয় পুষ্টি সেবার নির্দেশনার পর আমাদের পক্ষ থেকে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। উপজেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট