চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনিয়মে বদলে যাচ্ছে শিশুদের খাদ্যাভ্যাস ?

অনলাইন ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০২০ | ৪:৪৬ অপরাহ্ণ

করোনার কারণে বেশ অনেকদিন ধরেই বন্ধ স্কুল। শিশুদের তাই ঘরে বসেই ক্লাস করতে হচ্ছে। একটানা বাসায় থাকার কারণে তাদের প্রতিদিনের রুটিনে হচ্ছে নানান রকম পরিবর্তন। এর মধ্যে  অন্যতম হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস।
এর কারণগুলো হচ্ছে-
– দীর্ঘ সময় বাসায় বন্দী কাটানোর জন্য নানান মানসিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
– সহপাঠীদের সাথে দীর্ঘদিনের দেখা না হওয়ার কারণে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
– দীর্ঘ সময় বাসায় থাকার কারণে তাদের খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা কমে গেছে। ফলে হজম হচ্ছে দেরিতে এবং মেটাবলিক হার কমে গেছে। এতে ক্ষুধা হচ্ছে না।
– অনেক সময় শিশুরা মানসিক চাপে থাকলে অরিতিক্ত খাবার খেতে পারে। এতে ওজন বেড়ে যায়।
– ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা ও সময় মতো ঘুমাতে না যাওয়ার কারণেও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে।
এই অবস্থায় সঠিক সময়ে সঠিক খাবার গ্রহণ করাটা খুবই জরুরি। বিশেষ করে সুষম খাবার দিতে হবে শিশুদের। দুধ, ডিম, কলিজা, বাদাম, শিমের বিচি ইত্যাদি দিতে পারেন শিশুদের। এছাড়া অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে শিশুদের সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠানোর ব্যাপারে। এতে কর্মক্ষম থাকবে শিশু।
শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নানা রকম শিক্ষামূলক টিভি শো, সিনেমা ইত্যাদি দেখার ব্যবস্থা করতে পারেন।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ছাদে গিয়ে বা খোলা বাতাসে কিছু সময় টুকটাক ব্যায়াম করা যেতে পারে, এতে করে মেটাবলিক হার বাড়বে।
একজন কিশোর-কিশোরীর বয়স ধরে নেওয়া যাক ১০ অথবা ১২ বছর। সেক্ষেত্রে তার খাবার তালিকায় থাকবে ২ হাজার কিলোক্যালরি প্রতিদিন। প্রতিদিনকার খাবারে আসবে প্রোটিন (২৫-৩০), কার্বোহাইড্রেট (৪৫-৫০) এবং ফ্যাট (১৫-২০)।
এছাড়া বাড়ন্ত বয়সে খাদ্য তালিকায় রাখা চাই আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, (যা পাওয়া যেতে পারে সূর্যালোক থেকে)। হাড় ও হাড়ের বর্ধনের জন্য দিতে হবে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এটা আমরা পাব দুধ, ছোট মাছ থেকে। এছাড়াও দিতে হবে রঙিন শাকসবজি যা থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন ও মিনারেল। দিতে হবে বাচ্চাদের পছন্দের প্রাধান্য, তাতে করে খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বাড়বে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট