চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা না ডেঙ্গু, বুঝবেন কীভাবে ?

অনলাইন ডেস্ক

২৬ জুন, ২০২০ | ৬:১৮ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাস শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বর্ষা এসে গেছে। এ সময় হানা দিতে পারে ডেঙ্গুও। তাছাড়া ঋতু বদলের সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি তো রয়েছেই। কিন্তু মুখে মুখে সবাই ‘জ্বর মানেই করোনা নয়’ যতই বলুক না কেন, নিজের বা প্রিয়জনের জ্বর হলেই কিন্তু সবাই করোনা আতঙ্কে থাকেন।
যেহেতু সব ক’টি অসুখের প্রধান উপসর্গ মূলত জ্বরই, তাই সাধারণ মানুষের ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। তবে উপসর্গের মধ্যেও রয়েছে কিছু সূক্ষ্ম ফারাক। তবে জ্বর বা অন্য উপসর্গ না-কমলে, দু’দিনের বেশি অপেক্ষা না-করে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা সকলেই।
কী করে বুঝবেন কোন উপসর্গটা কোন অসুখের অথবা কখন কোনটা করণীয়? দেখে নেই পার্থক্যগুলো।

কোভিড-১৯ ও তার উপসর্গ : তাপমাত্রা থাকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার আশপাশে। জ্বর নামতে সময় লাগে। ৫-১০ দিন একনাগাড়ে জ্বর আসে। প্রথমদিকে সর্দি তেমন থাকে না কখনও-সখনও হাঁচিও হয়। মূলত শুকনো কাশি থাকে। মাথা যন্ত্রণাও থাকতে পারে, তবে খুব উল্লেখযোগ্য নয়। গা-হাত-পায়ে মাঝে-মধ্যে ব্যথা করে। সাধারণত জ্বর আসার সময়েই ব্যাথা হয়
শ্বাসকষ্ট কিন্তু সবার হয় না। যাদের হয়, তা বাড়তেই থাকে। নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়তে পারে, নাক বুজে যায় কম। গলাও খুসখুস করে অনেকের। এছাড়া স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে যায়। ক্লান্তি লাগে, চোখ ছলছল করে, অনেকের ডায়রিয়াও হয়।

সাধারণ জ্বর ও তার উপসর্গ : বড়জোর দু’-তিন দিন জ্বর থাকে। তাপমাত্রা থাকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার আশপাশে। দ্রুত নেমেও যায় জ্বর। সঙ্গে সর্দি থাকে। প্রবল হাঁচি হয়। প্রথমে শুকনো কাশিই বেশি হয়। পরে কাশির সঙ্গে সর্দি ওঠে। মাথা যন্ত্রণা হয়, তবে খুব উল্লেখযোগ্য না। মাংসপেশিতে ব্যথা হয় সারা শরীরে। সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয় না। নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ে, পরে নাক বন্ধ হয়ে যায়। গলাও খুসখুস করে অনেকের। এছাড়া মুখ তিতা লাগে, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, চোখ ছলছল করে, কারও কারও ডায়রিয়া হয়।

ডেঙ্গু ও তার উপসর্গ : কমপক্ষে চার-পাঁচ দিন ধুম জ্বর (১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। চট করে নামতে চায় না জ্বর। সর্দি ও হাঁচি-কাশি একেবারেই থাকে না। প্রবল ভাবে মাথা যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে চোখের পিছন দিকে যন্ত্রণা থাকে। গোটা শরীরে (মূলত হাড়ে) মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। তবে এই জ্বরে সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয় না। নাক ও গলার সমস্যাও সাধারণত হয় না। পরিশ্রান্ত লাগে শরীর। থাকতে পারে স্কিন র‌্যাস, বমি ও ডায়রিয়া। মাড়ি ও নাক থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি বমি, প্রস্রাব ও মলের সঙ্গেও রক্তও বেরোতে পারে।

 

 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট