চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আবুধাবিতে করোনায় আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু
আবুধাবিতে করোনায় আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু

করোনাভাইরাস: প্রধান ৭ লক্ষণ থেকে বাঁচার উপায়

অনলাইন ডেস্ক

৯ এপ্রিল, ২০২০ | ৫:১৬ অপরাহ্ণ

মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয় নি। তাই এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজন এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা । ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৫ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ করে না। প্রথমে শুরু হয় জ্বর, কাশিসহ নানা উপসর্গ বা লক্ষণ।

জেনে নেয়া যাক করোনাভাইরাসের প্রধান সেই ৭ লক্ষণ:

শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা: করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা। যাকে আমরা শ্বাসকষ্ট হিসেবে জানি। কাশি ছাড়াই এই সমস্যাটি দেখা দেবে। মনে হবে বুকের ভেতরে আটকে আছে এবং ফুসফুসে পর্যাপ্ত বাতাস পৌঁছাচ্ছে না।

জ্বর ও শুষ্ক কাশি: করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর আসা। প্রিভেন্টিভ মেডিসিনের প্রফেসর ও ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের ইনফেকশাস ডিজিজ এক্সপার্ট ড. উইলিয়াম শ্যাফনার জানান, জ্বর মাপার ক্ষেত্রে বিকাল ও সন্ধ্যার আগে জ্বর মাপা সবচেয়ে সঠিক। এছাড়া সঙ্গে শুষ্ক কাশিও থাকতে পারে।

মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও নাক বন্ধ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে ছয় হাজার রোগীর মাঝে অন্তত ১৪ শতাংশের ক্ষেত্রে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মাঝে মাথা ও গলাব্যথার সমস্যা এবং ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে নাক বন্ধের সমস্যা দেখা গেছে। তবে এই লক্ষণ খুব একটা কমন নয় এবং সাধারণ ফ্লুজনিত সমস্যাতেও দেখা দিতে পারে।

ঠাণ্ডাভাব ও হাড়ে ব্যথা: রাতের বেলায় ঠাণ্ডাভাব দেখা দেবে ও একই সঙ্গে বাড়বে হাড়ে ব্যথাভাব। সেই সঙ্গে জ্বরও বেড়ে যাবে তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা এত বেশি দেখা দেয় যে কাঁপুনি শুরু হয়।

পরিপাক্বজনিত সমস্যা: প্রথম অবস্থায় ডায়রিয়ার সমস্যাটিকে করোনাভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। ভাইরাসটি নিয়ে বহু পরীক্ষায় দেখা গেছে পেটের সমস্যাটিও এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত।

গন্ধ ও স্বাদ না পাওয়া: এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে স্বাদ ও গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা লোপ পায়। গন্ধ ও স্বাদ না পাওয়ার সমস্যাটিকে বলা হয় এনোজমিয়া (Anosmia).

অবসন্নতা: নভেল করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড মাত্রায় অবসন্নভাবকে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেখেছে, ৬ হাজার জনের মাঝে অন্তত ৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করেছে যে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা অবসন্নতা অনুভব করেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট