চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সু স্থ থা কু ন

অতিরিক্ত রাগ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

২৯ মার্চ, ২০২০ | ৭:২৮ অপরাহ্ণ

রাগের বহিঃপ্রকাশ শরীর ও মনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি কখনও কখনও জীবনঝুঁকি বয়ে আনে। রাগ নিয়ে অ্যালবার্টার মনবিজ্ঞানী প্যাট্রিক কিলানের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে রাগ নিয়ে কিলানের ওই গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি ছাপা হয়েছে।

কিলানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, রাগ দমানোর সাধারণ উপায় হলো উগ্র আচরণ। তবে গবেষণা বলে এই উগ্র আচরণ রাগ কমায় না; বরং আরও বাড়ায়। আর এই উগ্র আচরণের কারণে পরিবার, বন্ধু, সহপাঠী, সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ক্ষতি হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের ‘হার্টঅ্যাটাক’ হয়েছে তাদের অধিকাংশই আক্রান্ত হওয়ার আগে রাগান্বিত ছিলেন। রাগের কারণে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন হৃদযন্ত্রের ওপর প্রচ- চাপ ফেলে। ফলে যার হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে এরই মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, রাগান্বিত

অবস্থায় তাদের হৃদযন্ত্রের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে রাগ চেপে রাখার পক্ষে নন বিজ্ঞানীরা। তবে তারা বলছেন, উগ্র আচরণ রাগের বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম হতে পারে না। তাই উগ্র আচরণকে দমানোর কৌশল আগে জানতে হবে।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা ‘ব্রেইন ইমেজিং’য়ের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, রাগের মাথায় রাগের কারণটা প্রকাশ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ‘অ্যামিগডালা’ অংশকে শিথিল করা সম্ভব। মস্তিষ্কের এই অংশই রাগের সময় ‘অ্যাড্রেনালিন’ ও ‘কর্টিসল’ নিঃসরণ করে।

‘ব্রিটিশ কলোম্বিয়ার ভ্যানকুভারের মনবিজ্ঞানী ডায়ানা ম্যাকিনটস বলেন, কোনো কিছু অপছন্দ হলে তা মুখ ফুটে বলা অত্যন্ত মুল্যবান। কারণ প্রতিবাদই ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার সুযোগ তৈরি করে।

রাগের সময় কী করবেন?

১. অতিরিক্ত রাগ হলে লম্বা দম নেয়া কিংবা হালকা শারীরিক কসরত করার মাধ্যমে রাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা এর সঙ্গে একমত।
২. যার ওপর রাগ হয়েছে, তার ব্যক্তিগত দিকগুলোর সুলোক সন্ধান থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. দুর্ব্যবহার, গালাগালি থেকে বিরত থাকতে হবে। এক ঘটনা দিয়ে পুরো মানুষটাকে বিচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট