চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ওষুধ নয় বরং ৮টি পরামর্শতেই করোনামুক্ত চীন
ওষুধ নয় বরং ৮টি পরামর্শতেই করোনামুক্ত চীন

ওষুধ নয় বরং ৮টি পরামর্শতেই করোনামুক্ত চীন

১৯ মার্চ, ২০২০ | ৬:৫০ অপরাহ্ণ

সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস আঘাতহানে চীনের উহান প্রদেশে। পরবর্তীতে চীনের ৩০টি প্রদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বাভাবিক হতে চলেছে চীনের পরিস্থিতি। গত কয়েকদিনে মৃতের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি কমেছে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও।
উল্লেখ্য,সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের অন্তত ২ লাখ ২৫ হাজার ২৩৭ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৮৫ হাজার ৮২৩ জন সুস্থ হয়ে হাসাপাতাল ত্যাগ করেছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ২৭৬ জনের।
প্রথমে অনেকের মনে হতে পারে চীনের এই সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো কোন ওষুধ কাজ করেছে। বরং জানা গেছেওষুধ নয়, আটটি পরামর্শ মেনে চলায় তারা সফল হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন চীনের লিয়াওংনিং প্রদেশের ডালিয়ান শহরে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাশিম রাব্বি। রাব্বি বলেন, আসলে করোনার কোনো ওষুধ নেই। একমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

করোনা মোকাবিলায় চীনা সরকারের সেই আটটি পরামর্শ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে হাশিম বলেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। চীনা সরকার করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তাই তারা আজ সফল। আমাদেরকে আটটি পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এগুলো আমাদের মেনে চলা আবশ্যকীয় ছিল। পরামর্শগুলো হল—

১. জ্বর, কাশি, সর্দি হলে তাৎক্ষণিক আপনাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

২. খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যেতে মানা করেছে। সপ্তাহে ১ দিন বাজার করতে বলেছে।

৩. এলাকা ভিত্তিতে লকডাউন করা হয়। যাতে করে করোনায় আক্রান্ত মানুষ এক এলাকা থেকে অন্য কোথাও ঢুকতে না পারে।

৪. বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫. বাইরে থেকে এসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে বলা হয়েছিল।

৬. অযথা চোখে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।

৭. মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে বলা হয়েছিল।

৮. নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম করতে বলা হয়েছে।
চীন উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে এত মানুষের প্রাণহানি ঘটলো। অথচ বাংলাদেশে করোনা নিয়ে এখনো জরুরি অবস্থাই ঘোষণা করা হয়নি বলে হাশিম বলেন বাংলাদেশের এখনই কঠোর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া উচিত। তা না নিলে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে, বিনা চিকিৎসার জন্য মৃতের পরিমাণ বাড়বে এছাড়া মানুষ হতাশার মাঝে পড়ে গেলে সামাজিক অবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়বে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট