চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

পোশাকশিল্পে প্রণোদনার মেয়াদ বৃদ্ধি ও নতুন সহায়তা প্রয়োজন

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি আয় কমেছে ৭% : বিজিএমইএ সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক

৫ নভেম্বর, ২০১৯ | ৮:৩০ অপরাহ্ণ

প্রতি মাসেই কমছে রপ্তানি আয়। প্রায়শই বাংলাদেশ বড় ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছে পণ্য রপ্তানিতে। গত মাসে রপ্তানি করা হয়েছে ৩০৭ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য। যা ২০১৮ সালের অক্টোবরের চেয়ে কমেছে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর সাথে সাথে কমেছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) হিসাবে ৭ শতাংশের মতো কমেছে রপ্তানি আয়। লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে ১১ দশমিক ২১ শতাংশ।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক সার্বিক পরিস্থিতিকে ‘খুবই খারাপ’ উল্লেখ করে এ ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, অক্টোবর মাসের ১ থেকে ২৮ অক্টোবর সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। অথচ গত বছরের এই ২৮ দিনে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ। খুব শিগগিরই রপ্তানিকারকদের নিয়ে এমন নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি বড় বৈঠক করতে সরকারের প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে পলিসি সাপোর্ট দরকার। আমি সে কারণেই কথা বলছি বড় আকারের বৈঠকের। যেখানে সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করে আমাদের পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ঠিক করতে হবে একটি পথ বা পরিকল্পনা এবং এটা করতে হবে খুব দ্রুত।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ দাম কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের ও ইউরোপের বাজারে কমেছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল সাড়ে ৮ শতাংশেরও বেশি। কিন্ত গত বছরের আগস্টের চেয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে আয় কম আসে সাড়ে ১১ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে কমে হয় ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মঙ্গলবার যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ৩০৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছে পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্র থেকে। এ পরিমাণ গত বছরের একই মাসের তুলনায় কমেছে সাড়ে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ কম। পণ্য রপ্তানির মোট লক্ষ্যমাত্রা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি (৪৫.৫০ বিলিয়ন) ডলার ধরা হয়েছে।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন