চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ব্যাংকিং খাতের পরিচালনা নিয়ে উদ্বেগ সিপিডির

অনলাইন ডেস্ক

৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৬:৪১ অপরাহ্ণ

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করছে, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি আগের চেয়ে দুর্বল হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে দেশের সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হবে না। এতে কমবে প্রবৃদ্ধির গতি।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রবিবার (০৩ নভেম্বর) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রারম্ভিক মূল্যায়ন নিয়ে সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের এক চতুর্থাংশ সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খুব আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখা যায় নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে এবছরের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ গত অর্থ বছরের চেয়েও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করেন সিপিডি। রাজস্ব আহরণে দুর্বলতা, ব্যাংকিং খাত এবং পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। এজন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাজস্ব আহরণের কৌশলে বড় কোন পরিবর্তন আসেনি। এর ফলে রাজস্ব আহরণের ৮৭ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির চারটি খাত চিহ্নিত করেছে যেখানে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে সিপিডি। এই চারটি ক্ষেত্র হলো রাজস্ব সংগ্রহের হার, ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার এবং মজুরির ভারসাম্য। ব্যাংকিং খাতের পরিচালনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিডি। ব্যাংকিং খাতের গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রেই দূর্বলতা দেখা দিয়েছে।

পুঁজিবাজারে দুষ্টচক্রের আনাগোনা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে জানানো হয়, এর ফলেই ক্রমাগতভাবে পতন হচ্ছে সূচকের। দুর্বল আইপিও, অস্বচ্ছ বার্ষিক প্রতিবেদন, বিও একাউন্টের অপর্যাপ্ত স্বচ্ছতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম অস্থিতিশীল করে তুলেছে পুঁজিবাজারকে। এসব সমস্যা সমাধানে কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে করছে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির গবেষকরা।

পূর্বকোণ/টিএফ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট