চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

`উইঘুরদের বিষয়েও সোচ্চার হোন’, ইমরানকে মার্কিন কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৯:২১ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীরে মুসলমানদের নির্যাতনের বিষয়ে প্রায় সব আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার| কিন্তু ইমরান খান চীনে নির্যাতনের শিকার ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানের বিষয়ে বরাবরই চুপ থাকেন। এ ক্ষেত্রে এক মার্কিন কর্মকর্তা তাঁর চুপ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। খবর এএফপি’র।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য ইমরান খানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলেইস ওয়েলস উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর অবস্থান নিয়ে। ওয়েলস বলেন, ইমরান খান সব সময় অভিযোগ করেন কাশ্মীরে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে অথচ চীনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ১০ লাখ উইঘুর মুসলমান। তাঁদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়, তা নিয়ে ইমরান খান কেন কখনো কিছু বলেন না ।

ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জেরে। ইমরান খান অসংখ্যবার অভিযোগ করেছেন উপত্যকার মুসলমানদের বন্দী করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এলেইস ওয়েলস বলেন, ‘ভালো লাগত যদি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠী বন্দিদশায় থাকা মুসলমানদের বিষয়েও আপনার একই ধরনের উদ্বেগ দেখাতেন। সেখানকার মুসলমানদের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ কাশ্মীরের চেয়ে আরও বেশি হওয়ার কথা আপনার।’

পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী দেশ চীন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক দিন ধরেই চীনে মুসলিমদের ওপর বিগত কয়েক বছর ধরে চরম অত্যাচার ও নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করে আসছে। চীন উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ১০ লাখের বেশি মানুষকে বন্দিশিবিরে আটক করে রেখেছে। তবে সম্প্রতি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়ে ইমরান খান বলেন, আসলেই তিনি এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানেন না। চীনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তিনি জানান, জনসমক্ষে উইঘুর ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলবেন না।

জাতিসংঘ বরাবরই দাবি করে আসছে, চীনের উগ্রপন্থীবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরগুলোয় উইঘুর সম্প্রদায়ের ১০ লাখ মুসলিমকে আটক রাখা হয়েছে। তবে চীন সরকার জাতিসংঘের এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে না।

এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো চীনের বিভিন্ন শিবিরে উইঘুরদের গণহারে আটক করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘ কমিটির কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে বন্দীদের বাধ্য করা হয় চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট