চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সীমান্তে আরও দুই হাট : ভারত সফরকালে স্মারক স্বাক্ষর

অনলাইন ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকালে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটির আওতায় বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের জুড়ি ও কমলগঞ্জ সীমান্তে আরও দুটি সীমান্ত হাট বসাবে দুই দেশ। এছাড়া বাংলাদেশের পাটপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে ভারত প্রায়ই এন্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করছে। আগে থেকে আরোপ করা এন্টিডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার ও নতুন করে কোনো পণ্যে এ শুল্ক আরোপের উদ্যোগ নেওয়া হলে তা আলোচনা করতে দুই দেশের মধ্যে এক্সপার্ট গ্রুপ গঠনের বিষয়েও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি এমওইউ স্বাক্ষর করবে। এর একটির আওতায় মৌলভীবাজারের জুড়ি ও কমলগঞ্জ সীমান্তে দুটি সীমান্ত হাট চালু করা হবে। এ দুটি হাট আরও আগেই চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এতদিন তা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, অন্য যে বিষয়ে এমওইউ হবে, তা হলে দুই দেশের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এন্টিডাম্পিং বিষয়ে একটি এক্সপার্ট গ্রুপ গঠন করা হবে। ভারত বাংলাদেশের পাটপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হলে এ ধরনের এক্সপার্ট গ্রুপ গঠন করে সেখানে আলোচনা করার বিষয়ে প্রস্তাব দেয় ভারত। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এটি গঠন করা হবে। যেসব পণ্যে এন্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ আছে, সেগুলো প্রত্যাহার করা কিংবা ভবিষ্যতে কোনো পণ্যে এ ধরনের শুল্ক আরোপের আগে এই গ্রুপ তা নিয়ে কাজ করবে।

চোরাচালান প্রতিরোধ এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে লেনদেন ও পণ্য বিনিময় বৈধ করতে সীমান্ত এলাকায় ২ টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ-ভারত। তবে ২০১১ সাল থেকে এতদিন পর্যন্ত চারটি হাট চালু করা সম্ভব হয়েছে।

২০১১ সালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি সীমান্তে প্রথম সীমান্ত হাট চালুর পর ২০১২ সালের ১ মে সুনামগঞ্জের ডলুরায় চালু হয় দ্বিতীয় সীমান্ত হাট। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব মধুগ্রাম ও ছয়ঘরিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে চালু হয় তৃতীয় সীমান্ত হাট এবং একই বছরের ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্তে স্থাপিত হয়ে চতুর্থ সীমান্ত হাট।

আরও ছয়টি হাট চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার পশ্চিম বাটুলি ও ভারতের উত্তর ত্রিপুরা জেলার পালবস্তি সীমান্ত হাট এবং মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাঘাট ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই চেলার কমলাপুর মোড়াঝড়া সীমান্ত হাট স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর সফরে এমওইউ সই হবে।

প্রস্তাবিত বাকি চারটি হাট হলো- সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ আর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ইস্ট খাসিয়া হিলসের ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাট, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সায়দাবাদ আর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ গারো হিলসের শিবাবাড়ী সীমান্ত হাট, ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া অন্যদিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ গারো হিলসের শিববাড়ী সীমান্ত হাট এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের বাগানবাড়ী অন্যদিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ইস্ট খাসিয়া হিলসের রিংকু সীমান্ত হাট।- দেশ রূপান্তর

 

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন