চলতি সপ্তাহের তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স  প্রায় ৩০ পয়েন্ট কমেছে। দেশের অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১১২ পয়েন্ট।

তবে দুই বাজারেই বিক্রির চাপে লেনদেন বেড়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় ৪৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে যা সোমবার  ৩৮৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ছিল।

চট্টগ্রামে মঙ্গলবার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার যা সোমবার ছিল ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাজারের সকল অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাজারে কোনো ধরনের গরমিল হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিএসইসি’র অধীনে একটি বিশেষ কমিটি কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

‘ইন্টারনাল অডিট কমিটি’ নামের এই কমিটি কোম্পানিগুলো যাতে শেয়ারের ন্যায্যমূল্য পায়, কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম যেন অতিমূল্যায়িত না হয় সেদিক নজর রাখবে।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখানে আজ আশ্বস্ত করব সবাইকে যে, আমরা পুঁজিবাজারকে সুশাসন দেব এবং আমরা গর্ভন্যান্সে ভালো করব। যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, মিসম্যাচ আছে, সেগুলো আমরা টেককেয়ার করব। এভাবে আমাদের পুঁজিবাজারকে আমরা একটি শক্তিশালী বাজারে রূপান্তরিত করব।”

অর্থমন্ত্রীর এই বৈঠককে ঘিরে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে এটাই ছিল সকলের প্রত্যাশা। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো দরপতন হয়েছে।

২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ২০১৭ সাল থেকে; ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছাড়িয়ে যায় ছয় হাজার পয়েন্ট। কিন্তু তার পরের বছর সূচক আবার কমতে শুরু করে। ২০১৯ সালে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে সবাই প্রত্যাশা করলেও তেমনটি হয়নি। যত দিন যাচ্ছে বাজারের অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে।

ডিএসইএক্স নেমে এসেছে ৫০০০ পয়েন্টের নিচে।  ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে লেনদেন।

পূর্বকোণ/রাশেদ