চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশে বৈদেশিক সহায়তা কমেছে ৬১ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক

২৬ অক্টোবর, ২০২২ | ১০:৩৬ অপরাহ্ণ

দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বৈদেশিক সহায়তা কমেছে ৬১ হাজার ৬২০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এই সময়ে দেশে এসেছে ১৩৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে (এক ডলার সমান ১০০.৫ টাকা) ১৩ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এসেছিল ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

গতকাল মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধ করেছে ৫২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার বা চার হাজার ৯৮৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ঋণ ও সুদের বিপরীতে ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৬ হাজার ডলার বা পাঁচ হাজার ছয় কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।

এ বছর প্রথম তিন মাসে ঋণের একটি চুক্তি হয়েছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের। গত বছরের একই সময়ে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের নতুন প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে। তাদের কাছ থেকে এসেছে ৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থছাড় চীনের কাছ থেকে। দেশটি থেকে অর্থছাড় হয়েছে ২৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। এ ছাড়া আইডিএর কাছ থেকে এসেছে ১৯ কোটি ২১ লাখ ডলার।

 

এর আগের অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ তথা ১০ বিলিয়ন ডলারের অর্থছাড় করেছিল বিদেশি অর্থায়নে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে এসেছে মোট এক হাজার কোটি ৮৩ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে এডিবি। এরপর রয়েছে জাপান ও বিশ্বব্যাংক। ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭১০ কোটি (৭.১ বিলিয়ন) ডলার ঋণ সহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ আসে। ওই বছর ৭৩৮ কোটি (৭.৩৮ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পাওয়া গিয়েছিল।

বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে। ওই বছরই এক লাফে অর্থছাড় ৩০০ কোটি থেকে ৬৩৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসেছিল ৬৫৪ কোটি ডলার।

 

এ ব্যাপারে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরের তিন মাসে বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়া এবং ঋণ পরিশোধের হার কমে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কারণ গত অর্থবছরের একই সময়ে যে বৈদেশিক অর্থ সহায়তা এসেছিল তা অস্বাভাবিক। তার অন্যতম কারণ হলো তখন কভিড ছিল। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক বিলিয়ন ডলার এসেছিল। সব মিলিয়ে ওই অর্থবছরে সহায়তা এসেছিল এক হাজার কোটি ৮৩ লাখ ডলার। তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমাদের এখন বৈদেশিক সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কিভাবে এই সহায়তা বাড়ানো যায় সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ’তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট