চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আগস্টে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পরিবহন হবে ভারতের পণ্য

সারোয়ার আহমদ

২৩ জুলাই, ২০২২ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

দুই বছর পর আবার শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ট্রানজিট পদ্ধতিতে ভারতীয় পণ্য পরিবহন। আগামী মাসে ভারতীয় পণ্যের চারটি চালান ট্রানজিটের মাধ্যমে ট্রায়াল রান শুরু করবে। যার মধ্যে তিনটি চালান যাবে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এবং বাকি একটি চালান যাবে মংলা বন্দর ব্যবহার করে।

পরীক্ষামূলক চারটি চালান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম ও মোংলা পর্যন্ত সমুদ্রপথে আসবে। পরে চালানগুলো স্থলপথে চট্টগ্রাম-তামাবিল; চট্টগ্রাম-শেওলা; চট্টগ্রাম-বিবিরবাজার ও মোংলা-তামাবিল হয়ে ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় যাবে।

ট্রানজিট পণ্য পরিবহন সম্পন্ন করতে গত মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক চালানের ট্রানজিট মাশুল নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে কাস্টমসের মাধ্যমে প্রধানত ৭ ধরনের মাসুল আদায় করবে সরকার। যার মধ্যে টনপ্রতি কনটেইনার স্ক্যানিং মাশুল ২৫৪ টাকা, নিরাপত্তা চার্জ ১০০ টাকা, ডকুমেন্ট প্রসেসিং মাশুল ৩০ টাকা, ট্রানশিপমেন্ট মাশুল ২০ টাকা, এসকর্ট চার্জ ৫০ টাকা, বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ ১০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। যা সব মিলিয়ে প্রতি টনে মাশুল দাঁড়ায় ৫৫৪ টাকা। এ ছাড়া ওই পণ্যের চালানের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য যদি বৈদ্যুতিক লক ও সিল ব্যবহার করা হয়, তাহলে খরচ আরও বাড়বে।

এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই প্রথম ভারত বাংলাশে পণ্য পরিবহনের ট্রায়াল রান শুরু হয়। ওই চালানে চার কনটেইনার পণ্য পরিবহন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। যার মধ্যে দুটি কনটেইনারে ছিল টাটা স্টিলের টিএমটি স্টিল যা ভারতের ত্রিপুরায় যায় এবং বাকি দুটি কনটেইনার ইটিসি এগ্রোর ডাল যায় আসামে। ওই চার কনটেইনারের পণ্য পরিবহন করে মাসুল আদায় হয়েছিল ৩৫ হাজার ৪৮৮টাকা। যার মধ্যে সরকারি রাজস্ব ছিল ২৮ হাজার ৯০৮ টাকা এবং বন্দরের মাসুল ছিল ৬ হাজার ৫৮০ টাকা।

উল্লেখ্য, প্রথম সেই চালানের চার কনটেইনার পণ্য নিয়ে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই ভারতের শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী বন্দর (পুরাতন কলকাতা বন্দর) থেকে হলদিয়া বন্দর হয়ে এমভি সেঁজুতি নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনের পরিচালিত জাহাজটি ২১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। সেই জাহাজের চার কনটেইনার পণ্য খালাসে সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিল কে জে শিপিং।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ চুক্তিতে সই করে। পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিটির নাম ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চিটাগাং এন্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)’।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট