চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি পণ্য যাবে ইতালিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৪ জানুয়ারি, ২০২২ | ১২:২১ অপরাহ্ণ

ইতালি থেকে সাড়ে ১১শ টিইইউস কনটেইনার নিয়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ সোঙ্গা চিতা সরাসরি ভিড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে। মাঝপথে কোন ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টে দাঁড়াতে হবে না। আগামীকাল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ইতালির রাভেনা বন্দর থেকে ১৪৮ মিটার লম্বা এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। ৭ দশমিক ৮ মিটার গভীরতার এই জাহাজটি সাড়ে ১১শ টিইইউস খালি কনটেইনার নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আরো সাড়ে ১১শ টিইইউস রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে সরাসরি ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এরমধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রথমবার সরাসরি ইউরোপে রপ্তানি পণ্য পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে।

এর আগে গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর মার্সাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ ‘ক্যাপ ফ্লোরেস’ খালি কনটেইনার নিয়ে ইউরোপ থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। তবে ওই যাত্রায় ফিরতি পথে কোন রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে যায়নি জাহাজটি।

জানতে চাইলে সোঙ্গা চিতা জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স শিপিং এন্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ পূর্বকোণকে বলেন, খালি কনটেইনার নিয়ে সোঙ্গা চিতা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে ১ ফেব্রুয়ারি। পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ১১শ টিইইউস রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। জাহাজটি মাত্র ১৬ দিনে ইতালিতে পৌঁছবে। ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর ওপর নির্ভরতা কমবে এবং বিদেশি বড় জাহাজ বা বড় শিপিং কোম্পানির ওপর নির্ভরশীলতাও কমে আসবে।

তিনি বলেন, ইতালির তিন পোশাক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে পণ্য সরবরাহ নিতে গিয়ে কনটেইনার বা শিপিং কোম্পানির উচ্চ মাসুলের কারণে বিপাকে পড়েন। তখন তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এই সার্ভিস ট্রায়ালভিত্তিতে চালুর উদ্যোগ নেন। সফল হলে তারা তো পরিবহন করবেনই বরং অন্য বিদেশি ক্রেতারা এগিয়ে আসবেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে একটি রপ্তানি কনটেইনার সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকার যাবার সুযোগ নেই। একটি রপ্তানি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছোট আকারের জাহাজে বোঝাই করে প্রথমে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর-সিঙ্গাপুর, কলম্বো, পোর্ট কেলাঙ, তানজুম পেলিপাস বন্দরে যায়। সেখান থেকে বড় আকারের জাহাজ বা মাদার ভ্যাসেলে ইউরোপ-আমেরিকা যায়। কিন্তু নতুন এই সার্ভিসের মাধ্যমে সরাসরি ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।

মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, অনেকের ধারণা এই রুটে বড় আকারের জাহাজ ছাড়া কনটেইনার পরিবহন সম্ভব নয় কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল বলছেন। সোঙ্গা চিতা জাহাজটি সাগর-মহাসাগর পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। দেখার বিষয় হলো বন্দরের অনুমোদন আছে কিনা। এটাই হচ্ছে বড় বিষয়। তবে ভাল খবর হলো আমাদের দেশি-বিদেশি সব দপ্তরের অনুমোদন আছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট