চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

অগ্রিম আয়কর ও করমুক্ত বাজেট চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৩ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অগ্রিম আয়কর ও অগ্রিম কর বিলুপ্ত করার প্রস্তাবনা দিয়ে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আয়করের আওতা বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর, অগ্রিম কর ধারাবাহিকভাবে হ্রাস করে বিলুপ্ত করার জন্য প্রস্তাব করছি। একই সাথে অগ্রিম আয়কর সমন্বয় সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করছি।

নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেট প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম পূর্বকোণকে বলেন, নতুন বাজেট ব্যবসা-বান্ধব করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে মোট ১৩ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনার মহামারীর মধ্যেও গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং এই বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি অর্থছরে রেমিটেন্স এসেছে ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তাই আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে গত বাজেটের ধারাবাহিকতায় রাজস্ব ও ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণীত হবে বলে আমরা আশা করছি। অন্যান্য প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যবসায়িক লেনদেনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চালানভিত্তিক ব্যাংক টু ব্যাংক লেনদেন প্রক্রিয়া চালু করার দাবি জানাই। এটি চালু হলে একদিকে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে তা ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার অওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব করছি।

এছাড়া বর্তমানে মোট প্রাপ্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা বা তার অধিক হলে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে মোট প্রাপ্তির দশমিক ৫ শতাংশ হারে ন্যূনতম আয়কর নির্ধারণের বিধান পরিবর্তন করে মোট প্রাপ্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে আয়ের ভিত্তিতে কর প্রদানের বিধান তৈরির প্রস্তাব করছি। কৃষকদের থেকে বিভিন্ন প্রকার কৃষিজ পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক টু ব্যাংক লেনদেন নিশ্চিতকরণ এবং উৎসে কর কর্তনের হার ২% থেকে কমিয়ে ১% করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া, পরিবেশবান্ধব রি-সাইক্লিং ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতকে ভ্যাট ও টার্নওভার আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব করছি।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিদ্যমান কর্পোরেট ট্যাক্স বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে কস্ট-বেনেফিট এনালাইসিস করে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসার প্রস্তাব করছি। ডিও/ এসও ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য এসআরও ভিত্তিতে অথবা আয়ের উপর ভিত্তি করে আয়কর নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। চলতি অর্থবছরে আগামী কোয়ার্টারেও যদি কোভিড পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে তবে কৃষিখাত ও সিএসএমই খাতে প্রণোদনা বরাদ্দের ৫০% এবং বৃহৎ শিল্প ও রপ্তানি খাতে প্রণোদনা বরাদ্দের ৫% অনুদান হিসেবে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট