চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পণ্যজট কমাতে বন্দরে প্রতিদিনই পণ্য ডেলিভারি নেয়ার তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৯ এপ্রিল, ২০২১ | ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

সম্ভাব্য জট এড়াতে চলতি রমজান মাসে এবং এর আগে আমদানি করা পণ্য শুক্রবার থেকে রবিবার, এই তিনদিনও খালাস করার তাগিদ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকগণ সপ্তাহের অন্যান্য দিন পণ্য খালাস করলেও ব্যাংক বন্ধ থাকা এবং আমদানিসংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে না পাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচ্য তিনদিন পণ্য কম খালাস করতো।  পণ্যজট কমাতে সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর মতো শুক্রবার থেকে রবিবার বন্দর থেকে পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নিতে স্টেক হোল্ডারদের তাগাদা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার এ সংক্রান্তে চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে বন্দরের পরিবহন শাখা থেকে চিঠি দিয়ে দ্রুত ডেলিভারির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর।

জানা যায়, প্রায় ৪৯ হাজার টিইইউস ধারণক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে গতকাল রবিবার পর্যন্ত কনটেইনার ছিল ৩৬ হাজার ১৪০ টিইইউস এফসিএল কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালমহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেঁয়াজ, আদা, রসুনও রয়েছে। এছাড়া আরো ৬টি কনটেইনার জাহাজ বার্থিংয়ের জন্য বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষায় আছে। বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা এসব পণ্য ৪ দিন ফ্রি টাইম পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত চার্জ পরিশোধ করে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা পণ্য খালাস করে নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর।

বিশেষ করে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের ন্যায় শুক্র, শনি ও রবিবার স্বাভাবিক সময়ের মত পণ্য ডেলিভারি নিতে উৎসাহিত করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।বন্দর সূত্র জানায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিন স্বাভাবিক সময়ে কনটেইনার ডেলিভারি হয় প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টিইইউস। আর শুক্র, শনি ও রবিবার ডেলিভারি হয়ে গড়ে ১২শ থেকে ১৮শ টিইইউস কনটেইনার। অথচ ওই দিনগুলোতে বন্দর ও কাস্টমসের পর্যাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবা প্রদানে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্টরা ওই দিনগুলোতে পণ্য ডেলিভারি নিতে চান না। অথচ সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে সড়কেও চাপ কম থাকে। ওই দিনগুলোতে পণ্য ডেলিভারি নেওয়া অধিকতর সহজ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট