চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কঠোর লকডাউনেও ২৪ ঘণ্টা সচল থাকবে বন্দর-কাস্টমস

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ২৪ ঘণ্টা যথারীতি সচল রাখা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে হার্ড লাইনে গেছে সরকার। তবে শিল্প কারখানা চালু রাখার পাশাপাশি দেশের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সরবরাহ অর্থাৎ সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

সব ধরণের গণপরিবহন, দোকান, শপিংমল, সরকারি-বেসরকারি অফিস এমনকি ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা আসলেও দেশের বৃহৎ স্বার্থে চালু রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। নিত্যদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চালু থাকছে বন্দরের কার্যক্রম। এ বিষয়ে বন্দরের কার্যক্রম নিয়ে গত ১২ এপ্রিল সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

এতে বলা হয়, জরুরি পরিসেবা বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অন্যান্য দিনের ন্যায় চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ-বিভাগ বন্দরে আসা জাহাজ পাইলটিং সার্ভিস যথারিতি চালু রাখবে। তবে করোনার মহামারীর কারণে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ঘোষিত পদ্ধতি অনুসারে জাহাজের নাবিকদের কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা নিয়ে তারপর জাহাজ বার্থিং দেওয়ার নিয়ম রাখা হয়েছে। এছাড়া জাহাজের ভ্যাসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও চালু রাখা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বন্দরের পরিবহন বিভাগ জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামার কাজ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখবে। একই সাথে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ তাদের  ন্যূনতম জনবল দিয়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। শুল্কায়নশেষে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা পণ্য দ্রুত পণ্য ডেলিভারির জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ব্যাংক বন্ধ থাকলেও আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা ওয়ানস্টপ সার্ভিসে স্থাপিত বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে ন্যূনতম জনবল দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখা হচ্ছে।

এছাড়া বন্দরের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি আইসিডি/ অফডক, শিপিং এজেন্টস, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স, সিএন্ডএফ এজেন্টস, বার্থ অপারেটরস, টার্মিনাল অপারেটরস ও শিপ হ্যান্ডেলিং অপারেটরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে যাতায়াতের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের কার্যক্রম প্রসঙ্গে বন্দর সচিব ওমর ফারুক পূর্বকোণকে জানান, করোনার প্রথম ঢেউয়ের ন্যায় দ্বিতীয় ঢেউয়েও চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম চালু থাকবে। বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা হবে। একই সাথে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ অনুসরণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

বন্দর সচিব আরো জানান, বন্দরের অভ্যন্তরে খাবারের দোকান ও ক্যান্টিন খোলা থাকবে। তবে সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। পার্সেল নিয়ে যেতে হবে। ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর হাসপাতাল চালু থাকছে।

এদিকে বন্দরের কার্যক্রমের সাথে শুল্কায়নের নিয়োজিত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তা – কর্মচারীরাও অফিস করবেন। তাদের শিফট অনুযায়ী ন্যূনতম অফিসার দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ। সকল অফডকেও শুল্কায়নে নিয়োজিত থাকবেন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট