চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বন্দর: সোমবার থেকে বর্ধিত মাশুল

সারোয়ার আহমদ 

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেলিভারি না নেওয়া এফসিএল কনটেইনারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাড়ার সাথে বর্ধিত হারে মাশুল (স্টোররেন্ট) আদায় করার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। যা আগামী ১ মার্চ, সোমবার থেকে কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জানা যায়, আমদানিকৃত পণ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (ফ্রি টাইমে) খালাস না করায় প্রতিনিয়ত বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার সংখ্যা বাড়ছে। ধীরগতির পণ্য ডেলিভারির কারণে কনটেইনার সংখ্যা বেড়ে বন্দরের অভ্যন্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

এছাড়া সপ্তাহের সোম থেকে বৃহস্পতিবার যেখানে গড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয় সেখানে সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার কনটেইনার ডেলিভারি হয় গড়ে মাত্র এক থেকে দেড় হাজার টিইইউস। অথচ শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সড়ক পথে কনটেইনার ডেলিভারি করা অন্যান্য দিনের তুলনায় অধিক সহজ। অথচ আমদানিকারকরা এই দিনগুলোতে পণ্য ডেলিভারি করে কম। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার সংখ্যা বেড়ে গিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ থেকে কনটেইনার নামার (কমন ল্যান্ডিং ডেইট) ১১তম দিন থেকে বর্ধিত মাশুল কার্যকর করার কথা ভাবছে।

এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ সকল সিএন্ডএফ এজেন্টসহ পণ্য খালাসে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন শাখা সূত্র জানায়, কনটেইনার ডেলিভারির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা তাদের কনটেইনার ডেলিভারি সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োজিত রেখেছেন।

আমদানিকারক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা যে কোন সময়ে তাদের পণ্য ডেলিভারি নিতে পারে। অথচ তারা সপ্তাহের সাতদিন সমপরিমাণ পণ্য ডেলিভারি করেন না। সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবারের চেয়ে অন্যান্য দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের চাপ বেড়ে যায়। যার কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ে এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি না নিলে বর্ধিত মাশুল আদায়ের কথা ভাবছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট