চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণের সুদ ৬ মাসের জন্য স্থগিত না করলে শিল্পকে টিকিয়ে রাখা দুরূহ হবে

অস্তিত্ব সংকটে গার্মেন্টস শিল্প, বিজিএমইএ সভাপতির খোলা চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ জানুয়ারি, ২০২১ | ১১:৩৮ অপরাহ্ণ

‘পোশাক শিল্প আজ সবচেয়ে মর্মান্তিক পরিস্থিতির দিকে মোড় নিয়েছে। যথাযথ পুনর্গঠনের সুযোগ এমনকি প্রস্থাননীতি না থাকায় পশ্চিমা ক্রেতাদের দেউলিয়াত্ব বরণ, নির্দয়হীনভাবে ক্রয়াদেশ বাতিল এবং ফোর্স মেজার্স ক্লোজেজের কারণে শিল্প চরমভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে’।

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর খোলা চিঠিতে এভাবেই পোশাক খাতের বর্তমান করুণ দশা তুলে ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত এই খোলা চিঠি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে পোশাক খাতে সৃষ্ট সংকট নিরসনে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রকাশ করা সেই চিঠিতে ড. রুবানা হক বলেন, ‘কারখানাগুলো টালমাটাল পরিস্থিতির সঙ্গে প্রাণান্তকর সংগ্রাম করে কোনোভাবে টিকে রয়েছে। শিল্প ভালো করছে এবং সরকারের কাছ থেকে সকল সহযোগিতা পাচ্ছে- এই যে একটি ধারণা অনেকেই পোষণ করেন, তার আজ প্রকৃত পুনর্মূল্যায়ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি’।

প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পরিশোধের বিষয়টি উল্লেখ করে ড. রুবানা হক লিখেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২০২১ সালের জানুয়ারির ৩য় সপ্তাহের মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত পত্রও জারি হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনা এমন সময়ে দেওয়া হলো- যখন কিনা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে শিল্প গভীর অনিশ্চয়তায় হাবুডুবু খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণের সুদ অন্ততপক্ষে ৬ মাসের জন্য স্থগিতকরণ অথবা প্রণোদনা পরিশোধের মেয়াদ অন্ততপক্ষে আরও অতিরিক্ত ১ বছর (বর্তমানে ২৪ মাস) সম্প্রসারিত করা না হলে শিল্পকে টিকিয়ে রাখা দুরূহ হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ডিসেম্বর মাসের রপ্তানি প্রতিবেদনেও পোশাক শিল্পের উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে জানিয়ে ড. রুবানা হক বলেন, ‘আমরা ২০২০ সালে যা রপ্তানি করেছি, তা ২০১৮ সালে করা রপ্তানির তুলনায় ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম’।

করোনার কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে পণ্যের মূল্য প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের আশংকা রপ্তানির এই নিম্নমুখী প্রবণতা চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে’।

এমন পরিস্থিতিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন পোশাক মালিকদের সংগঠনের এই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা যেন নীতি নির্ধারকদের শিল্পের বর্তমান প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝাতে সক্ষম হই’।

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট