প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে বিদেশের সঙ্গে ব্যবসার সংযোগ রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই সর্বনিম্ন এক লাখ ডলার বিদেশে পাঠাতে পারবে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) জারিকৃত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই অনুমোদনের ফলে আমদানিনির্ভর ও কাঁচামালের বড় অংশ আমদানিকারকরা উপকৃত হবেন। এ কারণে প্রতিবার টাকা পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে হবে না।

এর আগে গত নভেম্বরে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কর বিবরণীতে ঘোষিত বিগত বছরের বিক্রির ১ শতাংশ পরিমাণ অর্থ বিদেশি মুদ্রায় পাঠানোর আওতা বাড়ানো হয়। এতে শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ ফি’র মধ্যে সীমিত না রেখে অন্যান্য যৌক্তিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠানোর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় জানানো হয়, অডিট ফি, সার্টিফিকেশন ফি, কমিশনিং ফি, টেস্টিং ফি, মূল্যায়ন ফি বিদেশে পাঠানো যাবে।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত যেসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় মুদ্রায় স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রি করে, তারা বিক্রির ১ শতাংশ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। তবে যেসব ব্যয় বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, তা ওই প্রজ্ঞাপনের আওতায় থাকবে না।

ওই নির্দেশনায় আরও জানানো হয়, এছাড়া রয়্যালটি, কারিগরি জ্ঞান বা সহায়তা ফি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

সোমবারের প্রজ্ঞাপনে বিগত বছরের বিক্রির ১ শতাংশ অর্থের সঙ্গে ১ লাখ ডলারের সীমা রাখা হয়েছে। এ দুটির মধ্যে যেটি বেশি হবে, তা চলতি ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদেশে পাঠাতে পারবে। ফলে বিক্রি পর্যাপ্ত না হলেও যৌক্তিক প্রয়োজনে হঠাৎ বেশি করে অর্থ বিদেশে পাঠানোর দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে সময়মতো অর্থ পাঠানো যাবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত এ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পূর্বকোণ/আরপি