চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মাছে রাসায়নিক মেশালেই ৭ বছর জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ নভেম্বর, ২০২০ | ১০:৫০ অপরাহ্ণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম প্রস্তাবিত ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২০’ কণ্ঠভোটের মাধ্যমে আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বিধান অনুযায়ী মৎস্য পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করলে ৭ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়।

১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি বাতিল করে বাংলা ভাষায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সামরিক শাসনামলের আইনগুলোকে নতুন করে বাংলায় করা হচ্ছে।

নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধানও বিলে রাখা হয়েছে। এছাড়া খসড়া আইনে মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে অন্যূন দুই বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিলটি গত ৮ জুলাই সংসদের তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থিবিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজ প্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে।’

পাস হওয়া বিলে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন থেকে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় তাজা মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পঁচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না। এ আইন অমান্য করলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা পরিদর্শন কর্মকর্তা কোনও ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করতে পারবেন।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট