চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পদে পদে বিপাকে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্টরা

এসাইকুডায় একমাসেও শর্ট শিপমেন্ট তথ্য যুক্ত হয়নি

সারোয়ার আহমেদ

১১ নভেম্বর, ২০২০ | ২:২৪ অপরাহ্ণ

তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্যের শর্ট শিপমেন্ট তথ্য এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে যুক্ত করার বিষয়ে গত ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সভা হয়েছিল। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শর্ট শিপমেন্টের তথ্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে জমা দেওয়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা মোতাবেক সর্বশেষ ৮ হাজার ৭৫৪টি শর্ট শিপমেন্টের তথ্য জমা পড়ে। এসব তথ্য এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে যুক্ত করার বিষয়ে এক মাস পর পুনরায় ২৮ সেপ্টেম্বর আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ওইসব শর্ট শিপমেন্টের তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অবহিত করে একটি যথোপযুক্ত পন্থায় এসাইকুডা ওয়ার্ড সিস্টেমে যুক্ত করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ওই শর্ট শিপমেন্ট তথ্যগুলো এখনো এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে যুক্ত হয়নি। এতে পদে পদে বিপাকে পড়ছেন তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টম নীতি ও আইসিটি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া পূর্বকোণকে বলেন, যেসব রপ্তানিকারকের শর্ট শিপমেন্ট হয়েছে তাদের কাছ থেকে কাস্টমসের মাধ্যমে তথ্য চাওয়া হয়েছে। শর্ট শিপমেন্টের তথ্য জমা পড়ছে। এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথেও এ ব্যাপারে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। উভয় পক্ষ মিলে একটি সমাধান বের করে শর্ট শিপমেন্টের তথ্য এসাইকুডায় যুক্ত করা হবে।

শর্ট শিপমেন্ট প্রসঙ্গে বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ পূর্বকোণকে বলেন, এনবিআরের জোরালো পদক্ষেপে চলতি সেপ্টেম্বর থেকে রেগুলার শর্ট শিপমেন্টের তথ্য এসাইকুডায় যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গত ৩১ আগস্ট থেকে তার আগের শর্ট শিপমেন্ট নিয়ে। এরকম পুরোনো শর্ট শিপমেন্টের প্রায় ৯ হাজার তথ্য কাস্টমসে জমা আছে। এসব তথ্য হালনাগাদ না হওয়ায় এখনো সমস্যায় পড়ছে পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্টরা। তাই দ্রুত এর সমাধান করা খুবই জরুরি।

উল্লেখ্য দেশীয় কোন পণ্য রপ্তানিকারক যত ডলারের পোশাক রপ্তানি করবে তার সমপরিমাণ শিপিং বিল ও ইএক্সপি সনদ নিতে হয়। অনেক সময় পণ্যের গুণগত মান খারাপ হলে কিংবা নানা কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডারের চেয়ে কম পণ্য পাঠাতে বলেন। আবার অনেক সময় কারখানা মালিকরাও নানা কারণে কম পণ্য পাঠাতে বাধ্য হন। এক্ষেত্রে কাস্টমস থেকে শর্ট শিপমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে হত। সেই সার্টিফিকেট ব্যাংকে জমা দেয়া যেত। এত বছর সেই কাজ ম্যানুয়ালি হয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছিলো, শর্ট শিপমেন্ট সার্টিফিকেট কাস্টমসের এসাইকুডা সিস্টেমে আপলোড থাকতে হবে। পরে এনবিআর রপ্তানিকারকদের শর্ট শিপমেন্ট সমস্যা নিরসনে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এসাইকুডায় শর্ট শিপমেন্ট তথ্য যুক্ত করার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু সমস্যা থেকে যায় ১ সেপ্টেম্বর পূর্ববর্তী শর্ট শিপমেন্ট তথ্য নিয়ে। যা এখনো এসাইকুডায় যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট