চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

প্রচারে সংকীর্ণতা, অনেকের জানা নেই বৃত্তি চালুর কথা

মোহাম্মদ আলী

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৪১ অপরাহ্ণ

প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের জন্য সরকার ‘প্রবাসী কল্যাণ শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করলেও যথাযথ প্রচারের অভাবে অনেকে এ বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যথাসময়ে জানতে না পেরে অনেকে আবেদনও করতে পারে না।
চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রবাসী মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ কার্যক্রমে প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের মধ্যে যারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি কিংবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮০ প্রাপ্ত হয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে তারাই এ বৃত্তির আওতায় আসে। তবে প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর সন্তানগণ জিপিএ-৪ প্রাপ্ত হলে আবেদন করতে পারবে।
এ ক্ষেত্রে পিইসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ১৪ হাজার টাকা করে তিন বছর, জেএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ২০ হাজার ৫০০ টাকা করে দুই বছর, এসএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী সাড়ে ২৭ হাজার টাকা করে দুই বছর এবং এইচএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ৩৪ হাজার টাকা করে ৪ বছর ধরে এ বৃত্তি লাভ করবে। শিক্ষার্থীর আবেদনের পর চেকের মাধ্যমে তাকে এ টাকা দেওয়া হবে।
তবে এ ক্ষেত্রে প্রবাসী সন্তানদের অনেকের অভিযোগ হচ্ছে, যথাসময়ে প্রচারের অভাবে তারা সরকারের বৃত্তি প্রদানের বিষয়টি জানতে পারে না। এ কারণে তারা বৃত্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজিয়েট হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তান ইমতিয়াজ রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিগত জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। কিন্তু খবর না পাওয়ায় আমি শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘শিক্ষাবৃত্তি আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রচার করা হয়ে থাকে। এ কারণে প্রতি বছরই বৃত্তিপ্রাপ্ত সংখ্যা বাড়ছে।’
মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে গত ৯ বছরে মোট এক হাজার ২৯০ জন পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি লাভ করে। এর মধ্যে ২০১২ সালে ১২ জন, ২০১৩ সালে ২০ জন, ২০১৪ সালে ২৮ জন, ২০১৫ সালে ৬০ জন, ২০১৬ সালে ১৯৬ জন, ২০১৭ সালে ১৩১ জন, ২০১৮ সালে ১৬৪ জন, ২০১৯ সালে ৩০৪ জন এবং ২০২০ সালে ৩৭৫ জন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট