চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মশার কৌশল শিখে পথ দেখালেন বাঙালি বিজ্ঞানী

ব্যথা লাগবে না ইঞ্জেকশনে!

মরিয়ম আকতার

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:২৪ পূর্বাহ্ণ

শরীরে যখন মশা হুল ফোটায়, প্রথমে আমরা তা বুঝতেই পারি না। মশা রক্ত খেয়ে উড়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারি। তা হলে কি মশা কোনও বিশেষ কৌশল জানে?

(গত সংখ্যার পর)

মশা হুল ফোটালে প্রথমে টের পাই না কেন- মশা যখন হুল ফোটায় তা আমাদের বুঝতে না পারার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মশার হুল খুব সরু।
দ্বিতীয়ত, মশা ‘ভাইব্রেট’ বা কাঁপাতে কাঁপাতে তার হুলটিকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাতে থাকে।
তৃতীয়ত, মশা একই সঙ্গে অনেকগুলি হুল ফোটায়। প্রথমে মনে করা হত, মশা একটি মাত্র হুল ফোটায় আমাদের শরীরে। পরে গবেষণায় দেখা যায়, একটি নয় দু’টি হুল একই সঙ্গে ঢোকায় মশা। আরও পরে গবেষকরা জানান, দু’টি নয়; মশা একই সঙ্গে ছ’টি হুল আমাদের শরীরে ঢোকায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই কারণগুলির জন্যই মশার হুল ফোটানোর সময় যন্ত্রণা এতটাই অল্প হয় যে, গোড়ার দিকে আমরা তা টের পাই না।

অনিমাংশুর গবেষণার অভিনবত্ব কোথায়?
ধরা যাক, একটি মোটা সূচকে কোনও বস্তুর মধ্যে ঢোকানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করতে হয়, তা কমে যাবে, যদি সেই মোটা সূচটিকে সরু সরু অনেকগুলি সূচে ভেঙে একসঙ্গে ঢোকানো হয়। অনিমাংশু পরীক্ষা করে দেখেছেন, একটি সূচকে কোনও বস্তুর মধ্যে ঢোকাতে যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করতে হয়, একই মাপের দু’টি সূচকে ঢোকাতে কিন্তু তার দ্বিগুণ বলের প্রয়োজন হয় না। সেই বলের পরিমাণটা হয় একটি সূচ ঢোকানোর বলের ১.৪১৪ গুণ মাত্র।

মশা যখন একই সঙ্গে ছ’টি হুল ফোটায় তখন একটি হুল ফোটাতে যে বল লাগে, তার মাত্র ২.৪৪৯ গুণ বলের প্রয়োজন হয়। যার অর্থ, ছ’টি হুল মশা একসঙ্গে ফোটালেও তা তিনটি হুল ফোটানোর থেকেও কম বল প্রয়োগ করেই সম্ভব হচ্ছে।
অনিমাংশুরা পরীক্ষাগারে কোনও একটি পদার্থের মধ্যে একই সঙ্গে দু’টি সূচ ঢোকানোরও একটি মডেলও বানিয়েছেন।
তবে একাধিক সূচের চেয়েও অনিমাংশুর লক্ষ্য, মশা হুল ফোটানোর সময় যে সেগুলি কাঁপতে কাঁপতে ঢোকায়, সেই কৌশল রপ্ত করে ইঞ্জেকশনের সূচ বানানো। (চলবে)
[সূত্র : আনন্দবাজার]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট