চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

মানবসৃষ্ট দূষণে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা

জলবায়ু পরিবর্তন

মানবসভ্যতা বিলুপ্তির সতর্কবার্তা!

মরিয়ম আকতার

৩ মে, ২০১৯ | ৫:০৩ অপরাহ্ণ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের গবেষণায় পাওয়া গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানব সভ্যতা বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয়
ইউনিয়ন এর ‘ফিউচার ট্রেন্ডস অ্যান্ড স্ট্রাটেজিস’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির মাত্রা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে একটি ভয়ংকর বিধ্বংসী ভবিষ্যতের চিত্র বলে জানানো হয়েছে। বিশেষত, ২০৩০ সাল পর্যন্ত যদি এভাবেই বিশ্বে উষ্ণতা বাড়তে থাকে তবে এটিই হবে মানবসভ্যতার বিলুপ্তির কারণ ।
‘দ্য বিল্ড’ , ইউরোপা ইইউএটি ইইউ’য়ের একটি প্রধান নীতিনির্ধারণী বাৎসরিক গবেষণা পত্র যেখানে অর্থনীতি, পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের নানা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সংকট তুলে ধরা হয়। গত সোমবার ব্রাসেলসে অবস্থিত ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। যেখানে ‘সেভিং দ্য প্ল্যানেট’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা হয়েছে,পৃথিবীর আর মাত্র ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বাড়তি উষ্ণায়ন সহ্য করার সক্ষমতা রয়েছে।
আসন্ন অস্তিত্ব সংকট মোকাবেলায় এখন থেকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং আবর্জনা রিসাইকেল করার ওপর জোর দেয়া হয়। একইসঙ্গে, বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে আনাসহ পরিবেশ সংরক্ষণে আরো বিনিয়োগ বৃদ্ধির কৌশল প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। এইসব কৌশল কার্যকর করতে ইউরোপের সরকার, প্রকৃতিবিজ্ঞানী, ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাদের মাঝে সমন্বয় বৃদ্ধির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে এবারের ইইউ গবেষণা কৌশলপত্রে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে মিথেন ও ওজোন গ্যাস নিঃসরণের ভূমিকা গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে অন্যতম প্রধান অবদান রাখে মিথেন গ্যাস।
সংস্থাটি জানায়, ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ৬ থেকে ১১ হাজার শিশু দূষণজনিত কারণে গর্ভাবস্থায় মারা যাবে। একইসময়, বিশ্বে ৭০ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার গর্ভকালীন শিশু ভ্রূণের মৃত্যুর কারণ হবে এই ধরনের দূষণ।
[সূত্র : ডয়চে ভেলে]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট