চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বনাঞ্চল রক্ষায় ৩০০ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০২১ | ১১:১০ অপরাহ্ণ

পুরনো বনাঞ্চলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নতুন কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ২০৩০ সালের মধ্যেই তিনশ কোটি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ইইউর পরিবেশ, সমুদ্র ও মৎস্য সম্পদবিষয়ক লিথুয়ানিয়ান কমিশনার ভার্জিনিজাস সিনকেভিসিয়াস। 

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নেয়া নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউরোপজুড়ে থাকা বনসম্পদ রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে ইইউ। সিনকেভিসিয়াস বলেন, ‘জলবায়ু রক্ষায় বনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের কাছে যদি পর্যাপ্ত ভালো মানের বনজ বাস্তুসংস্থান না থাকে, তবে কার্বন-ডাই অক্সাইডের স্টোরেজ সম্পর্কে কোনো কাজ সম্পাদনের আশা করতে পারি না।’ সেই লক্ষ্যে এ বছরের শেষদিকে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনশ কোটি গাছ লাগানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাছ লাগালেই বন হয়ে গেল তা নয়, একটি প্রতিষ্ঠিত পরিপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র গঠনের ওপর জোর দেব আমরা। তার কথায়, অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এ বিষয়ক একটি প্ল্যাটফরম অনলাইনে আসবে। সেখানে কি ধরনের গাছ লাগানো যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। নতুন এ প্রকল্পের নীতিমালা তৈরি হবে ইইউর ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়েই। তবে পুরোনো বন রক্ষার কৌশল আগে যা ছিল, তাই থাকবে বলে জানিয়েছেন সিনকেভিসিয়াস। নতুন এই বনকৌশল ইউরোপীয় গ্রিন ডিলেরই অংশ বলে তিনি জানিয়েছেন।

কিন্তু বনরক্ষায় ইইউর গৃহীত পদক্ষেপগুলোর সমালোচনা করে আসছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কাঠশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা উলটোপথে হাঁটার মতো অভিযোগ করে বলছেন, বনরক্ষায় গৃহীত নীতিমালার কারণে ৬৪০ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হচ্ছে তাদের-যে খাতে ৩৬ লাখ লোকের কর্মসংস্থান নির্ভর করছে। ইইউর বিধিনিষেধ এ শিল্পকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

অন্যদিকে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, কাঠের পণ্যগুলোর উত্তরোত্তর চাহিদা ইউরোপের জলবায়ুবিষয়ক লক্ষ্যগুলোকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে ইইউ কৃষিবিষয়ক কমিশনার জানুজ উজসিকাওস্কি বলেন, ‘বনগুলো আমাদের সমাজ ও অর্থনীতির ফুসফুস। বনসম্পদের কারণে গ্রামাঞ্চলের মানুষ জীবিকার পথ খুঁজে পায়। পাশাপাশি নাগরিক জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে।’ তবে ইইউ চলতি সপ্তাহে দাবি করেছে, কার্বন-ডাই অক্সাইডের শোষণ ২৭০ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ৩১০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করতে বদ্ধপরিকর।

জার্মানিতে অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু শহরে বন্যার পানি এখনো অনেক উপর দিয়ে বইছে। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। গত বেশ কয়েক দিন ধরে পুরো অঞ্চলের জনবসতিগুলো বিদ্যুৎবিহীন ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরে বলে আসছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

কিন্তু জার্মানির এই নিরলস বর্ষণের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা নির্ধারণ করতে গবেষণায় অন্তত কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে শুক্রবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট