চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ডলফিন, কাছিমসহ হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, কক্সবাজার

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৫১ অপরাহ্ণ

সাগরে বর্জ্য ফেলা বন্ধ, মেরিন লাইফ হাসপাতাল ও আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন, রিভিউ কমিটি গঠন, সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ ১০টি সুপারিশ দিয়ে ১৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দিয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হঠাৎ অধিক পরিমাণে বর্জ্য, কাছিম ও অন্যান্য প্রাণী ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, অনুসন্ধান কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গত বুধবার। প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য ও সুপারিশসমূহ বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই এনভায়রনমেন্ট পিপল নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। এদিকে, অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল।

বিবৃতিতে সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না করায় কয়েকটি খাল ও নদী দিয়ে সরাসরি সাগরে গিয়ে পতিত হচ্ছে জৈব ও অজৈব বর্জ্য। এছাড়া জেলেদের অসচেতনতায় মারা পড়ছে ডলফিন, হাঙ্গর, কাছিমসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী। এতে করে সাগর দূষণের পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণী ও জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এসব সুরক্ষায় অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, কমিটির ১০টি সুপারিশের মধ্যে দুটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই সংগঠনটি কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে জেলে, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে বছরব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা জানান, ভেসে আসা বর্জ্যসমূহের মধ্যে দেশি ও বিদেশি উভয় প্রকার বর্জ্যরে অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭-৮% জৈব এবং ৯১-৯২% নানা ধরনের অজৈব বর্জ্য। এসব বর্জ্য সাগরের মহেশখালী চ্যানেল মুখ থেকে পাটুয়ারটেক বিচ পর্যন্ত উপকূল হতে আনুমানিক ২০০ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকায় বিভিন্ন সময়ে জমা হয়ে পরবর্তীতে প্রবল সমুদ্র স্রোত, তীব্র বাতাস ও সুউচ্চ জোয়ারের সমন্বিত শক্তির প্রভাবে বর্জ্যসমূহ সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট