চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাল্টে গেল কিলোগ্রাম এবার সেকেন্ডের পালা

২৩ মে, ২০১৯ | ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

এক কিলোগ্রাম মানে কতটা? গত পরশু থেকে বদলে গেল তার সংজ্ঞা। এ বার নিশানা সেকেন্ড। আরও নিখুঁত ভাবে সময় মাপতে পাল্টে যাবে ঘড়িও!
মরিয়ম আকতার
ভরের মূল একক কিলোগ্রামের বাটখারা তথা প্ল্যাটিনাম-ইরিডিয়ামের দ- ‘ল্য গ্রঁদ কে’-কে প্যারিসে কাচের ঘেরাটোপে রাখা হলেও সযত্ন মোছামুছিতেও এটি থেকে কিছু পরমাণু ক্ষয়ে যাচ্ছিল।
গত বছর নভেম্বরে প্যারিসের কাছে ভার্সেই শহরে ৫০টিরও বেশি দেশের ভোটে ‘ল্য গ্রঁদ কে’-কে বাতিল করে মাক্স প্লাঙ্কের ধ্রুবকের ভিত্তিতে এক কিলোগ্রাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কারণ মাক্স প্ল্যাঙ্ক ধ্রুবক অঙ্কের নিয়মে মাপা ও নিখুঁত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩০ বছর পর সোমবার থেকে গোটা বিশ্বে কিলোগ্রামের নতুন সংজ্ঞা চালু হয়ে গেল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বদলটা ঘটল ‘ওয়র্ল্ড মেট্রলজি ডে’ তথা বিশ্ব পরিমাপ বিজ্ঞান দিবসে।
এ বার পালা সময়ের একক সেকেন্ডের সংজ্ঞা বদলের। সহজ করে বলা যেতে পারে, আগের চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত করে সেকেন্ডকে মাপার ব্যবস্থা করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা।
বর্তমানে সেকেন্ড মাপা হয় সিজিয়াম পরমাণু দিয়ে তৈরি ঘড়িতে। সিজিয়ামের পরমাণু নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের আলো শুষে নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই শক্তি তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ আকারে ছেড়ে দেয়। ঠিক যেমন আদর্শ অবস্থায় একটি পেন্ডুলাম নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিশেষ একটি স্থানে পৌঁছয়।
সিজিয়ামের ঘড়িতে আলোর ৯১৯,২৬,৩১,৭৭০ বার স্পন্দন বা দোলনের কালকে এক সেকেন্ড ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তী কালে তৈরি হওয়া ‘অপটিক্যাল অ্যাটমিক ক্লক’ অনেক বেশি নিখুঁত সময় দিচ্ছে।
কলোরাডোর বোল্ডারের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি’-র পদার্থবিদ অ্যান্ড্রু লাডলোর কথায়, ‘‘এই ঘড়িতে কম্পাঙ্ক অনেক বেশি। ফলে ঘড়ির প্রতিটি ‘টিক’ অনেক কাছাকাছি। ফলে এই ঘড়িতে সিজিয়াম ঘড়ির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি নিখুঁত ভাবে এক সেকেন্ডকে মাপা যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সব ধাপ পেরিয়ে বদলটা হয়তো ঘটবে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ।
[সূত্র : ডয়চে ভেলে]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট