চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘প্রফেশনাল যৌনকর্মী’ দিয়ে ছবি বানানো হচ্ছে : পপি

অনলাইন ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

প্রকৃত শিল্পীদের বাদ দিয়ে ‘প্রফেশনাল যৌনকর্মী’ দিয়ে ছবি বানানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। বর্তমান চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

পপি জানান, এখন ছবি বানাতে গেলে শিল্পীর দরকার হয় না। শিল্পীর খুব অভাব। যৌনকর্মী হলেই ছবি বানানো সম্ভব। খুবই দুঃখজনক, ইন্ডাস্ট্রির এখন বাজে অবস্থা। প্রফেশনাল যৌনকর্মী হলেই ছবি বানানো সম্ভব, বানাচ্ছে। এখানে শিল্পীর কদর নাই।

তিনি আরও জানান, আমরা তো আমাদের নিজের কাজের প্রয়োজনে দৌড়াই। কিন্তু শুনি যে, শিল্পীরা শপিং করতে প্রডিউসারদের সঙ্গে বিদেশ যায়। আমরা তো আর ওই ধরনের শিল্পী না।

অভিনেত্রী পপি জানান, যাদের ব্যক্তিগত ইমেজ খারাপ, তারা শিল্পী হয় কীভাবে? ঘরে জামাই রেখে বদমায়েশি করে বেড়ায়, এরা শিল্পী হয় কীভাবে? চারটা-পাঁচটা বিয়ে করে, অসামাজিক কার্যকলাপ আর টাকার পেছনে বেড়ায় এরা শিল্পী হয় কীভাবে? এই যদি হয় শিল্পী আর যৌনকর্মীর মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায় ?

নির্মাতাদের অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা জানান, যারা ছবি বানাতে এসেছেন, তারা ছবি বানান। আর যারা বদমায়েশির জন্য এসেছেন তাদের জন্য ওটাই পারফেক্ট। ইন্ডাস্ট্রি তো আর বদমায়েশির জায়গা না।

এখন মনে রাখার মতো শিল্পী কোথায়-মন্তব্য করে পপি জানান, এত সুন্দর একটি ইন্ডাস্ট্রি, এই সমস্ত যৌনকর্মীদের কারণে এখন ধ্বংস হতে চলেছে। একটার পর একটা বিয়ে করবে, টাকা-পয়সা নেয়া হয়ে গেলে আবার আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে। তাছাড়া এদের মধ্যে আবার অনেকের ইয়াবা ব্যবসার প্রতি আসক্ত রয়েছে। এদের কারণে অন্যান্য শিল্পীদের ইমেজও ক্ষুণ্ন হয়। আমাদের দেশে মানুষ বলে “তোমাদের নায়িকারা” বা “আপনাদের তো একটা বিয়ে হয় না” ইত্যাদি। এসব কথা শুনলে, খুব খারাপ লাগে। শাবানা, ববিতা, চম্পা, শাবনাজ, মৌসুমী আপা কয়টা বিয়ে করেছেন? একটা করেছেন। কিন্তু বর্তমানের কিছু নায়িকাদের জন্য সব নায়িকাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আমি এসব নায়িকাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। এসব নায়িকাদের মুখে কালি মেখে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করে দেয়া উচিৎ।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রসঙ্গে পপি জানান, এসব অপকর্মের সঙ্গে শিল্পী সমিতি তো নিজেরাই জড়িত। তারা এসব বিষয়ে কি করবে। দেখা গেছে এসব অকর্মের সঙ্গে জড়িত… নাম বেড়িয়ে এসেছে।

সবশেষে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী জানান, আমি কারও জমা খরচ দিয়ে চলি না বা কোনো প্রডিউসার কিংবা কারো আন্ডারেও থাকি না। আর আমার কথা বলারও স্বাধীনতা আছে। তাই এই কথাগুলো বলতে আমরা কোনো ভয় নেই।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে রূপালি পর্দায় পা রাখেন পপি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহানের ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন পপি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।

পূর্বকোণ-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট