চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

২০১৭-২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৫১ পূর্বাহ্ণ

গত দুই বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এবার একসাথে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। ‘গহীনে বালুচর’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কারের মনোনীত হয়েছেন বদরুল আনাম সৌদ। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন শাকিব খান ও আরিফিন শুভ। তারা দু’জন পুরস্কার পাচ্ছেন যথাক্রমে ‘সত্তা’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার জন্য। ‘হালদা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। একই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা খলনায়কের পুরস্কার যাচ্ছে জাহিদ হাসানের ঘরে। সেরা নায়ক ছাড়াও ‘সত্তা’ সিনেমা

চার ক্যাটাগরিতে পেয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেরা গায়ক জেমস, গায়িকা মমতাজ বেগম, সেরা গীতিকার সেজুল হোসেন এবং সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। হালদা ছবির জন্য সেরা কাহিনীকার আজাদ বুলবুল ও সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে তৌকির আহমেদ জাতীয় পুরস্কার পেতে চলেছেন। এদিকে ২০১৮ সালে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন আলমগীর ও প্রবীর মিত্র। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘পুত্র’। ‘জান্নাত’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কারের মনোনিত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন ফেরদৌস আহমেদ ও সায়মন সাদিক। তারা পুরষ্কার পাচ্ছেন ‘পুত্র’ ও ‘জান্নাত’ ছবির জন্য। ‘দেবী’র জন্য সেরা অভিনেত্রী জয়া আহসান মনোনিত হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য।

২০১৭ সালের জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক এমএ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত ও সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। ২০১৮ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র অভিনেতা ড. এনামুল হক, সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান, অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চিত্রগ্রাহক সংস্থার যুগ্মমহাসচিব তপন আহমেদ।

২০১৭ সালের জাতীয় পুরস্কার প্রপ্তদের তালিকা :

আজীবন সম্মাননা: এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : বিশ্ব আঙ্গিনায় অমর একুশে (বাংলাদেশ টেলিভিশন), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : বদরুর আনাম সৌদ (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : শাকিব খান রানা (সত্তা), মাহবুবুর আরিফিন শুভ (ঢাকা অ্যাটাক), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : মোহাম্মাদ শাহাদাৎ হোসেন (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : সুবর্ণা মুস্তাফা (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : জাহিদ হাসান (হালদা), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে : ফজলুর রহমান বাবু (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : নাইমুর রহমান আপন (সিটকিনি), শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : অনন্য সামায়েল (আঁখি ও তার বন্ধুরা), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : এম ফরিদ আহমেদ হাজরা (তুমি রবে নিরবে), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : ইভান শাহরিয়ার সোহাগ (ধ্যাত্তেরিকি), শ্রেষ্ঠ গায়ক : মাহফুজ আনাম জেমস (সত্তা-তোর প্রেমেতে অন্ধ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মমতাজ (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে), শ্রেষ্ঠ গীতিকার : সেজুল হোসেন (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে), শ্রেষ্ঠ সুরকার : বাপ্পা মজুমদার (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : আজাদ বুলবুল (হালদা), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : তৌকীর আহমেদ (হালদা), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : মোহাম্মাদ কালাম (ঢাকা অ্যাটাক), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : উত্তম কুমার গুহ (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : কমল চন্দ্র দাশ (গহীন বালুচর), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (ঢাকা অ্যাটাক), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : রীতা হোসেন (তুমি রবে নিরবে), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : জাভেদ মিয়া (ঢাকা অ্যাটাক)।

২০১৮ সালের জাতীয় পুরস্কার প্রপ্তদের তালিকা :
আজীবন সম্মাননা : আলমগীর ও প্রবীর মিত্র। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : পুত্র (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর), শ্রেষ্ঠ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : গল্প সংক্ষেপ (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট), শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : রাজাধিরাজ রাজ্জাক (ফরিদুর রেজা সাগর), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : মোস্তাফিজুর রহমান মানিক (জান্নাত), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : ফেরদৌস আহমেদ (পুত্র), সাদিক মোহাম্মাদ সাইমন (জান্নাত), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : জয়া আহসান (দেবী), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : আলীরাজ (জান্নাত), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : সুচরিতা (মেঘকন্যা), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : সাদেক বাচ্চু (একটি সিনেমার গল্প), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে : মোশাররফ করিম (কমলা রকেট), আফজাল শরীফ (পবিত্র ভালোবাসা), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : ফাহিম মোহতাসিম লাজিম (পুত্র), শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : মাহমুদুর রহমান অনিন্দ্য (মাটির প্রজার দেশে), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা (জান্নাত), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : মাসুম বাবুল (একটি সিনেমার গল্প), শ্রেষ্ঠ গায়ক : নাইমুল ইসলাম রাতুল (পুত্র), শ্রেষ্ঠ গায়িকা : সাবিনা ইয়াসমিন (পুত্র) ও আঁখি আলমগীর (একটি সিনেমার গল্প), শ্রেষ্ঠ গীতিকার : কবির বকুল (নায়ক), জুলফিকার রাসেল (পুত্র), শ্রেষ্ঠ সুরকার : রুনা লায়লা (একটি সিনেমার গল্প), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : সুদীপ্ত সাঈদ খান (জান্নাত), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : সাইফুল ইসলাম মান্নু (পুত্র), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : এম এম হারুণ-অর-রশীদ (পুত্র), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : তারিক হোসেন বিদ্যুৎ (পুত্র), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : উত্তম কুমার গুহ (একটি সিনেমার গল্প), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : জেড এইচ মিন্টু (পোস্টমাস্টার ৭১), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : আজম বাবু (পুত্র), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : সাদিয়া শবনম শান্তু (পুত্র), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : ফরহাদ রেজা মিলন (দেবী)।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট