চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘মাসুদ রানা’র রয়্যালটি নিয়ে বিবাদ

অনলাইন ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০১৯ | ৯:১১ অপরাহ্ণ

মাসুদ রানা। বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের দুর্দান্ত দুঃসাহসী স্পাই। গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ান দেশ থেকে দেশান্তরে। অসম্ভব বলে কিছু নেই তার কাছে। রহস্য, কৌতূহল ও রোমাঞ্চকর সব বিজয়ের কীর্তি গড়াই যেন চিরতরুণ এ চরিত্রের প্রধান কাজ। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তুমুল পাঠকপ্রিয় স্পাই থ্রিলার সিরিজ মাসুদ রানার গ্রন্থস্বত্ব ও রয়্যালটি নিয়ে এবার দেখা দিয়েছে বিবাদ। এমন সময় এ বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে, যখন কিনা ‘মাসুদ রানা’ চরিত্র নিয়ে বড় বাজেটের সিনেমা তৈরির ঘোষণা দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

সম্প্রতি সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে মাসুদ রানা সিরিজের অনেকগুলো বইয়ের রয়্যালটি আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন শেখ আবদুল হাকিম ও ইফতেখার আমিন। তাদের দাবি, মাসুদ রানা সিরিজটির অধিকাংশ বই তাদেরই লেখা। কাজী আনোয়ার হোসেন শুরুর দিকের কয়েকটি বই লিখলেও প্রকৃতপক্ষে বিদেশী কাহিনী অবলম্বনে মাসুদ রানা সিরিজের অধিকাংশ বই লিখেছেন শেখ আবদুল হাকিম এবং পরে আরো কজনের সঙ্গে মিলে লিখেছেন ইফতেখার আমিন। কাজী আনোয়ার হোসেন শুধু সিরিজটির সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেছেন।

গত মাসের ১১ তারিখ কপিরাইট রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো অভিযোগপত্রে ইফতেখার আমিন দাবি করেন, ‘হার বেনি’ নামের একটি অনুবাদ গ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি সেবা প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত হন। সব মিলিয়ে তার লেখা গ্রন্থসংখ্যা ৫৮। প্রতিটি পাণ্ডুলিপি লেখা বাবদ কোনো ধরনের লিখিত শর্ত ছাড়াই তাকে ১০-১২ হাজার টাকা দিতেন আনোয়ার হোসেন।

আমিনের ভাষ্যমতে, কপিরাইট আইন সম্পর্কে তার কোনো ধারণা না থাকায় তিনি কখনো প্রাপ্ত অর্থের বাইরে আর কিছু ভাবেননি। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে লেখালেখির পর ২০০২ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে কপিরাইট গেজেট বিষয়ে বিস্তারিত জানেন এবং অনুধাবন করেন, কাজী আনোয়ার হোসেন রয়্যালটি নিয়ে প্রতারণা করে তার পাওনা বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরপর নিজের পক্ষে আরো প্রমাণাদি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ইফতেখার আমিন ২০০৯ সালে পুনরায় সেবা প্রকাশনীতে মাসুদ রানার নতুন দুটি গ্রন্থের (অচেনা বন্দর ১, ২ ও গুপ্ত আততায়ী ১, ২) পাণ্ডুলিপি জমা দেন। এ গ্রন্থ দুটির দেনা-পাওনা নিয়েও আগের মতো একই আচরণ করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। এ সময়ে ইফতেখার আমিন তার পক্ষে নতুন প্রমাণ জোগাড় করতে সক্ষম হন। তথ্যপ্রমাণাদি নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে মোট ৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৭২ টাকা ৫০ পয়সা এবং নিজের লেখা ৫৮টি গ্রন্থের মেধাস্বত্ব দাবি করেন তিনি।

এদিকে মাসুদ রানার সর্বাধিক গ্রন্থের রচয়িতা শেখ আবদুল হাকিমও বহু আগে থেকেই রয়্যালটি ও মেধাস্বত্ব নিয়ে সমস্যায় ভুগছিলেন। পরবর্তী সময়ে বঞ্চিত দুই লেখক আবদুল হাকিম ও ইফতেখার আমিন একসঙ্গে কাজী আনোয়ার হোসেনকে জানান, তারা তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন। কাজী আনোয়ার হোসেন তখন তাদের পাওনা মিটিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ইফতেখার আমিনের দাবি, তারা তাদের পাওনা অর্থের একটি হিসাব কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে উত্থাপন করার পর পরই তিনি তার আশ্বাসের কথা অস্বীকার করে জানিয়ে দেন, তারা কোনো মাসুদ রানাই লেখেননি, তার লেখায় সহযোগিতা করেছেন মাত্র।

যদিও মাসুদ রানা সিরিজের সর্বাধিক গ্রন্থের লেখক হিসেবে সুপরিচিত শেখ আবদুল হাকিমের দাবি, মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ১৯৬৬ সাল থেকেই তিনি সেবা প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত। তার ভাষ্য, ‘সেবায় যোগ দেয়ার আগে আমি কুয়াশা সিরিজের ১০ নম্বর গ্রন্থটি লিখে পাঠিয়েছিলাম। এরপর এই সিরিজের ১১ নম্বর থেকে ২০-২২টি গ্রন্থ আমার মৌলিক চিন্তায় লেখা। ১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে সেবা থেকেই বের হয় আমার প্রথম মৌলিক গ্রন্থ অপরিণত পাপ।’

শেখ আবদুল হাকিম ও ইফতেখার আমিন দুজনই জানিয়েছেন, কপিরাইট অফিসে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। উল্লেখ্য, এ নিয়ে মোট তিনবার কপিরাইট অফিসে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন এই দুই লেখক।

শুধু কপিরাইট অফিসে অভিযোগ দিয়েই ক্ষান্ত হননি শেখ আবদুল হাকিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অভিযোগের বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি, দিয়েছেন স্বপক্ষে যুক্তি। গত ২৬ জুলাই ফেসবুকে লেখা এক পোস্টে শেখ আবদুল হাকিম অভিযোগ করেন, শুরু থেকে গল্পপ্রতি কিছু অর্থ পেয়ে থাকলেও ২০১০ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত আর কোনো অর্থই তিনি পাননি। বছর পাঁচেক আগে পাওনা টাকা চেয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনকে ফোন করলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কিসের টাকা? আপনি আমার কাছে টাকা পান, এমন কিছু মনে পড়ছে না।’ এমনকি ২০১০ সালে যখন প্রথমবারের মতো কপিরাইট অফিসে অভিযোগ করেন, তখন কাজী আনোয়ার হোসেন কপিরাইট অফিসে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন শেখ আবদুল হাকিম লিখতে পারেন না। তিনি সেবার লেখক নন।

বিষয়টি নিয়ে বণিক বার্তাকে শেখ আবদুল হাকিম বলেন, ‘শুধু বিশ্বাস আর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জায়গা থেকে নিজের লেখা গ্রন্থের স্বত্ব নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কোনো চুক্তি করিনি। এমনকি প্রতিটি গল্পের একাধিক সংস্করণের জন্যও কোনো চুক্তিনামা হয়নি তার সঙ্গে। ফলে আনোয়ার হোসেন আমার লেখা গ্রন্থে লেখক হিসেবে নিজের নাম ব্যবহার করে এবং প্রতিটি গ্রন্থের একাধিক সংস্করণ থেকে প্রাপ্ত অর্থ খুব সহজেই একা ভোগ করতে পেরেছেন, যা গর্হিত অপরাধ। তিনি আসলে মিথ্যাবাদী, প্রতারক।’

১৯৬৬ সালে মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই প্রকাশের কিছু সময় পর থেকে সেবা প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত হন শেখ আবদুল হাকিম। মৌখিক চুক্তিতেই তিনি লেখা বাবদ সম্মানী নিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে কেন মৌখিক চুক্তিতে ছিলেন, আর কেনইবা এতদিন পর গ্রন্থস্বত্ব ও রয়্যালটি দাবি করলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কেন এতদিন বলিনি তা নিয়ে আমি যা বলার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছি। আমি ফোন মারফত কথা বলে আনোয়ার হোসেনকে বুঝিয়েছি, দেখুন আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ যাচ্ছে, আমি অসুস্থ, আমার টাকা-পয়সা দরকার। অথচ উনি স্বীকারই করলেন না। উল্টো বললেন, আমি আপনাকে চিনিই না। আপনি কিসের টাকা পাবেন? উনি আমাদের টাকা আত্মসাৎ করবেন, এটা কখনো ভাবিইনি। আসলে কেন যে উনি আমার প্রাপ্য অধিকারটুকু মেনে নিচ্ছেন না এবং কেন এসব কথা বলছেন, তা আমার কাছে রহস্যজনকই লাগছে।’

আপনি নিজেই স্বীকার করছেন গ্রন্থস্বত্ব আর রয়্যালটি নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কোনো লিখিত চুক্তি করেননি। সেক্ষেত্রে আইনিভাবে কীভাবে প্রমাণ করবেন যে আপনিও মাসুদ রানার লেখক? এ প্রশ্নের উত্তরে শেখ আবদুল হাকিম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে এর সঙ্গে যুক্ত সবাই জ্ঞাত, এই সব কথাই সত্যি। তার পরও বলছি, সবকিছু কি আর খাতা-কলমে প্রমাণ করা যায়? উনি (আনোয়ার হোসেন) প্রথম আলোসহ আরো অনেক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাত্কারেও বলেছেন, শেখ আবদুল হাকিম, ইফতেখার আমিন, কাজী মায়মুর হোসেনসহ অনেকেই মাসুদ রানা লিখছেন এখন, আমি লিখছি না।’

সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি। তার পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সেবা প্রকাশনীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর সব বক্তব্য রাখছেন কাজী আনোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী মায়মুর হোসেনের স্ত্রী মাসুমা মায়মুর। তিনিই মূলত সেবা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ আবদুল হাকিম-ইফতেখার আমিনের উত্থাপিত রয়্যালটি ও কপিরাইট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন।

কাজী আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য পেতে টেলিফোনে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি নিয়ে মাসুমা মায়মুরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কাজী আনোয়ার হোসেনের জন্য লিখিত প্রশ্ন পাঠাতে বলেন। দ্রুত লিখিত প্রশ্ন পাঠালেও তিনি কালক্ষেপণ করতে শুরু করেন। তাকে নিয়মিত তাগাদা দেয়া হতে থাকে। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘সামনাসামনি আসুন…! জানাব।’ তার পরই তিনি সিদ্ধান্ত বদলে বলেন, ‘আমরা দেশের প্রথম সারির পত্রিকা ছাড়া অন্য কোথাও মন্তব্য করতে আগ্রহী নই। আর আমাদের মন্তব্য ব্যতীত কোনো রিপোর্ট করবেন না।’

কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে শেখ আবদুল হাকিম ও ইফতেখার আমিনের নতুন করে দায়ের করা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী। তিনি জানান, সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে রয়্যালটি আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইফতেখার আমিন ও শেখ আবদুল হাকিম তার কাছে তথ্যপ্রমাণাদিসহ দুটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছেন ও শিগগিরই এর সুরাহার জন্য শুনানির আয়োজন করবেন।

মাসুদ রানার গ্রন্থস্বত্ব ও রয়্যালটি নিয়ে ২০১০ সালেও কপিরাইট অফিসের তৎকালীন রেজিস্ট্রার মঞ্জুরুর রহমানকে অবহিত করেছিলেন শেখ আবদুল হাকিম ও ইফতেখার আমিন। এরপর সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার কপিরাইট অফিসে কাজী আনোয়ার হোসেনকে হাজির হতে একাধিকবার নোটিস জারি করেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি কাজী আনোয়ার হোসেন। একইভাবে পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে যতজন কপিরাইট রেজিস্ট্রার এসেছেন, তারা কেউই বিষয়টির সুরাহা করতে পারেননি। যদিও বর্তমান রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী বিষয়টি সমাধানের কথা বলছেন।

এ নিয়ে জাফর আর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এখন ইতিপূর্বেকার কোনো রেকর্ড যদি থাকে, তাও মিলিয়ে দেখব এবং কপিরাইট আইনের ৯৯ ধারা অনুযায়ী শুনানির আয়োজন করব। আগামী এক মাসের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে বলে আশা করছি। শুনানিতে উভয় পক্ষকে উপস্থিত থাকতে হবে স্বপক্ষের যুক্তি তুলে ধরার জন্য। যদি দেখা যায়, অভিযোগকারীদের বক্তব্য ঠিক আছে, তাহলে আগে যদি কারো নামে কপিরাইট নেয়াও থাকে তাহলে তা বাতিল করা হবে এবং অভিযোগকারীদের কপিরাইট ফিরিয়ে দেয়া হবে।’

তিনি এও বলেন, শুনানি গ্রহণ শেষে রেজিস্ট্রার যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কপিরাইট বোর্ড বরাবর আপিল করা যাবে। এখানে যদি রেজিস্ট্রারের রায়ই বলবৎ থাকে তাহলে হাইকোর্টে যেতে হবে এবং সেখানেই বিষয়টির চূড়ান্ত সমাধান হবে।

‘কুয়াশা’ সিরিজের প্রথম বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে ১৯৬৪ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। এর মধ্য দিয়ে রহস্য ঔপন্যাসিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কাজী আনোয়ার হোসেন? ১৯৬৬ সালে স্পাই থ্রিলার ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের প্রথম বই ‘ধ্বংস পাহাড়’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কাজী আনোয়ার হোসেনের নতুন যাত্রা।

কল্পনার দুর্দান্ত, লোমহর্ষক আর রোমাঞ্চকর চরিত্রের স্রষ্টা কাজী আনোয়ান হোসেন এবং এ সিরিজের দাবিদার আরো দুজন লেখকের বিবাদ মাসুদ রানা সিরিজের পাঠকদের মধ্যেও নতুন রহস্য উপাখ্যানের সঞ্চার করেছে। মাসুদ রানার বিপুল পাঠকের নজর এখন এ ঘটনার দিকে। প্রথম দিকের বই ক’টি বাদে মাসুদ রানা সিরিজের বাকি বইগুলো কার—এ প্রশ্নই এখন পাঠকের মুখে মুখে।

সূত্র : বণিক বার্তা

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট