চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সপরিবারে দেখার মতো ছবি

‘দ্য লায়ন কিং’

এডিটর’স চয়েজ

ডা. ম রমিজউদ্দিন চৌধুরী

২৯ জুলাই, ২০১৯ | ২:০৪ পূর্বাহ্ণ

মুফাসা জঙ্গলের রাজা। আর খলনায়ক তারই ভাই স্কার। রাজা হতে না পেরে স্কার নানা রকম ফন্দি করে। হায়েনার দলের সঙ্গে মিশে মুফাসাকে হত্যা করে ভাই স্কার। আর মুফাসার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে তার ছেলে সিম্বাকে। ছোট্ট সিম্বা সে ঘটনায় পালিয়ে যায়। তার পেছনে ছুটতে থাকে হায়েনার দল। সিম্বাকেও হত্যা করতে চায় স্কার। পালাতে গিয়ে উঁচু পাহাড়ের থেকে পড়ে যায় সিম্বা। মারা গেছে ভেবে সিম্বাকে ফেলে হায়েনার দল ফিরে যায়।
সিম্বা কি জঙ্গলের রাজত্ব ফিরে পাবে? মুখোমুখি হয়ে তার চাচা স্কারের হাত থেকে তার বাবার রাজত্ব ফিরিয়ে নিতে পারবে? ছোট্ট সিম্বা কি প্রতিশোধ নিতে পারবে বাবা হত্যার?
চট্টগ্রামের ষোলশহর দুই নম্বর গেটের ফিনলে স্কয়ারে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ সিলভার স্ক্রিনে চলছে জন ফেবরিউ নির্মিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘দ্য লায়ন কিং’। থ্রিডি ছবিটি হলিউডে গত ৯ জুলাই রিলিজ হয়। আর একশ আঠারো মিনিটের এনিমেটেড এই চলচ্চিত্রটি আমেরিকাতে মুক্তি পায় গত ১৯ জুলাই। মূলতঃ ১৯৯৪ সালে ওয়াল্ট ডিজনি পিকচারের নির্মিত একই নামের সিনেমাটির অবিকল কপি হলো ‘দ্য লায়ন কিং’। দীর্ঘ ২৫ বছর পর একই প্লটে নির্মিত এই সিনেমার নতুন সংস্করণে আছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
কম্পিউটার এনিমেটেড চলচ্চিত্র হলেও ছবিটি দেখে মনে হবে বাস্তব সব দৃশ্য যেনো ঘটছে আপনার সামনে। ইংরেজি ভাষায় সিনেমাটি নির্মিত হলেও এতে ব্যবহার করা হয়েছে সহজবোধ্য বাক্য। যার কারণে যে কেউ সিনেমার প্রতিটি লাইন বুঝতে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন সিনেমার প্রতিটি মুহূর্ত। পরিবার পরিজন নিয়ে দেখার মত একটি সিনেমা এটি। আর দেখার পর মনে হবে সিনেমা দেখার পয়সা ও সময় কোনটাই বৃথা যায়নি।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখতে যেত। হৈ হুল্লোড় ছিল হলগুলোর ভেতরে এবং বাইরে। সেই সময় এখন আর নেই। সুস্থ বিনোদন নিতে এখন আর মানুষ সিনেমা দেখতে যায় না। সিনেমা হলগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা এবং সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের অভাবে বন্ধ হতে থাকে একের পর এক সিনেমাহল। সারাদেশের পাশাপাশি বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও অনেক নামী সিনেমাহল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সুস্থ ধারার কিছু সিনেমা নির্মাণের ফলে মানুষকে আবার হলমুখী হতে দেখা গেছে।
এতসব সীমাবদ্ধতার ভেতরেও দেশের মানুষের সিনেমা দেখার স্পৃহা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। দেশীয় চলচ্চিত্রের গন্ডি থেকে বের হয়ে মানুষ এখন পশ্চিমা চলচ্চিত্রের দিকে ঝুঁকছে। আর সেই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য সারাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র সিনেপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। চট্টগ্রামে আছে মাত্র একটি। যার নাম সিলভার স্ক্রিন। আধুনিকতার প্রযুক্তির সকল উপকরণ নিয়ে তৈরি হওয়া এই সিনেমা হলের পরিবেশ চমৎকার। পরিবার- পরিজন নিয়ে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের এই হলটিতে সিনেমা উপভোগের ‘উপযুক্ত প্রেক্ষাগৃহ’ যাকে বলে সিলভার স্ক্রিন সেরকমেরই একটি।

শেয়ার করুন