চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৌদি থেকে ফিরলেন আট নারীসহ ১৩৭ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক

৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

নতুন বছরের শুরুতেও সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশিদের ফেরা অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে দেশটি থেকে ফিরেছেন আরও ১৩৭ বাংলাদেশি। রাত ১১ টা ২০ মিনিটে ও রাত দেড়টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৪ ও এসভি ৮০২ দুটি বিমানযোগে দেশে ফেরেন ১৩৭ জন। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে ৪৫৪ জন বাংলাদেশি ফিরলেন।

বরাবরের মতো গতকালও ফেরত আসাদের মাঝে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌছানোর জন্য জরুরী সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিদেশ থেকে ফেরা মানুষদের কাউন্সিলিং ও আর্থিকভাবে পুণরেকত্রীকরণের কর্মসূচি নিয়েছে ব্র্যাক।

৫ জানুয়ারি ফেরা আকমিনা আক্তারের (৩০) বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার নরুত্তমপুর গ্রামে। তিনি জানান, সাত মাস আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে নিয়োগকর্তার শারীরিক নির্যাতনে শিকার হয়ে শুন্য হাতে দেশে ফিরতে বাধ্য হন আকলিমা। আকলিমা বলেন, সৌদি যাবার পর থেকে আমাকে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে হত। কাজ শেষে ঘুমাতে গেলে মালিক বিরক্ত করতেন। কাজ করলেও বেতন দিতেন না। বেতন চাইলে বলতেন তাকে নাকি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

আরেক নারী গৃহকর্মী হাসিনার (২৭) বাড়ি হবিগঞ্জ। তিনি আট মাস পূর্বে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তারও গল্প একই। কিন্তু হাসিনার ওপর নির্যাতনের মাত্রা এতই বেশি যে বিমানবন্দরে দাঁড়াতেই পারছিলেন না তিনি। হাসিনা বলেন, মালিক ভালা না খালি মারে আর খারাপ খারাপ কথা বলে। কথা না শুনলে মারে।

ফেরত আসা টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার সাদ্দাম হোসেন জানান, মাত্র এক বছর পূর্বে এসি টেকনিশিয়ানের কাজ নিয়ে চার লাখ দশ হাজার টাকা খরচ করে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে চার মাস কাজ করলেও সঠিক বেতন পাননি সাদ্দাম। তারপরেও হাল ছাড়েননি। কাজ থেকে রুমে ফেরার পথে পুলিশ ধরে আকামা থাকা সত্ত্বেও দেশে ফেরত পাঠান সাদ্দামকে। সুনামগঞ্জের আবুল কালাম জানান, দুই বছর আগে প্রিন্টিংয়ের কাজ নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কিন্তু ভাগ্যের চাকা না ঘুরতেই দেশে ফিরে আসতে হল তাকে। একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে ফিরেছেন চট্রগ্রামের সগির হোসেন, সিরাজুল কবির,সিলেটের ফুরকান, মো. শাহ আলম, রফিক, নোয়াখালীর শামসুদ্দিন।

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট