চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশে ফিরলেন আরো ১১৩ জন বাংলাদেশি

সৌদি আরব সংবাদদাতা

৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ৭:৪৯ অপরাহ্ণ

সৌদি আরব থেকে ধরপাকড়ের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন আরও ১১৩ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি- ৮০৪ বিমানে দেশে ফেরেন তারা।

বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে নভেম্বরের প্রথম ৭ দিনে মোট ৯৩০ জন দেশে ফিরলেন। তাদের মধ্যে ৫৩৪ জনকে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় জরুরি সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাক। চলতি বছরের গত দশ মাসে সৌদি আরব থেকে ২০ হাজার ৬৯২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বরাবরের মতো গতকালও ফেরত আসাদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

সৌদি থেকে দেশে ফেরাদের একজন কুষ্টিয়ার কামাল হোসেন জানান, সাত লাখ টাকা খরচ করে দেড় বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তিনি। একটি দোকানে কাজও করতেন নিয়মিত। কাজ থেকে রুমে ফেরার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করলে কামাল ফোন দেন কফিলকে (নিয়োগকর্তা)। কিন্তু কফিল কোনো দায়িত্ব নেননি। ফলে তাকে দেশে ফিরে আসতে হলো। বাবুল, জহির, রেজাউলসহ আরও কয়েকজন যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সে কোম্পানির পোশাক পরেই শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরত কয়েকজনের পায়ে সেন্ডেলও ছিল না। তারা জানান, কাজ শেষে কর্মস্থল থেকে রুমে ফেরার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ধরে কোম্পানির দেয়া কাপড়েই দেশে পাঠিয়ে দেয়।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফিরলেন ৯৩৪ জন। যারা ফেরত এসেছেন তাদের বর্ণনা একই রকম। তারা সবাই খালি হাতে ফিরেছেন। তিনি জানান, যারা কয়েক মাস আগে গিয়েছিলেন তাদের কেউই খরচের টাকা তুলতে পারেননি। এখন ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। এভাবে ব্যর্থ হয়ে যারা ফিরছেন তাদের পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষ করে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

 

 

পূর্বকোণ/অভি-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট