চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৌদিআরবে নির্যাতিত সুমি দেশে ফিরতে প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা

কামাল পারভেজ অভি, সৌদি আরব প্রতিনিধি

৭ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:০১ অপরাহ্ণ

সৌদিআরবে নির্যাতিত সুমি আক্তার (২৬) দেশে ফিরতে চায়। তবে দেশে ফিরতে সুমি আক্তারের প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) সৌদিআরব বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় জেদ্দার দক্ষিণে নাজরান এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশ সুমি আক্তার কে উদ্ধার করে।

সৌদি আরবে নির্যাতিনের শিকার বাংলাদেশি গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে দেশে ফেরাতে হলে তার সৌদি নিয়োগকর্তাকে ২২ হাজার সৌদি রিয়াল (৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা) পরিশোধ করতে হবে। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নাজরান এলাকায় অবস্থিত নিয়োগকর্তার বাড়ি থেকে সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে বর্তমানে একটি সেফহোমে রাখা হয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইংয় জানায়, সুমির নিয়োগকর্তার সঙ্গে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কথা হয়েছে।

সুমির নিয়োগকর্তা জানিয়েছে, সুমি আক্তারকে সৌদি আরবে নিতে তার ২২ হাজার সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে এবং তিনি নিয়মিত সুমিকে বেতন ভাতা ও পরিশোধ করে আসছিলেন। এই অবস্থায় নিয়োগকর্তার দাবি সুমিকে ফেরত নিতে হলে তার ২২ হাজার সৌদি রিয়াল ফেরত দিতে হবে। নিয়োগকর্তাকে ২২ হাজার সৌদি রিয়াল এবং বিমান টিকেটের দেয়া গেলে সুমিকে দেশে পাঠানো সম্ভব। নিয়োগকর্তা এবং বিমান টিকেটের টাকায় সুমিকে সৌদি আরবে প্রেরণকারী মেসার্স রুপসী বাংলা ওভারসীজের (রিক্রুটিং লাইসেন্স নং ১১৬১) কাছ থেকে আদায় করার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌদি নিয়োগকর্তার টাকা পরিশোধের পর বিমান টিকেট পাওয়া গেলে নিশ্চিত হবে কবে নাগাদ সুমি দেশে ফিরতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এক নির্যাতিতা বাংলাদেশি নারীর বাঁচার আকুতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। যেখানে ওই নারী বলেন, আমি মনে হয় আর বাঁচবো না, আমি মনে হয় মরেই যাব। আমি এখানে খুবই কষ্টে আছি। আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট