চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ব্যবসা ও চাকরি হারানোর শঙ্কা ৫০ হাজার প্রবাসীর

র‌্যাপিড টেস্টে আটকা আমিরাত ফেরা

মোহাম্মদ আলী

৩০ আগস্ট, ২০২১ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

র‌্যাপিড টেস্টে আটকে আছে প্রবাসীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেরা। ছুটিতে এসে টানা কয়েক মাস ধরে দেশে আটকে আছেন প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী। তাতে ব্যবসা ও চাকরি হারানোর শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন তারা।
প্রবাসীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে গত ১২ মে থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরমধ্যে জুনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর করোনা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। এতে দেশে আটকা পড়েন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েক হাজার প্রবাসী। আমিরাত সরকার এসব প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে নিতে বিমান বন্দরে করোনার র‌্যাপিড টেস্ট বুথ স্থাপনের শর্ত জুড়ে দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের কোনো বিমান বন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট বুথ স্থাপিত না হওয়ায় প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না। এ কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার র‌্যাপিড টেস্ট বুথ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রবাসীরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী বাংলাদেশ কমিউনিটির সংগঠন ‘আমার দেশ আমার মাটি’র সমন্বয়কারী মো. মুক্তার হোসেন দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তানসহ ৬টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করে দিয়েছে আরব আমিরাত সরকার। কারণ ওইসব দেশের বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট সিস্টেম চালু আছে। আমাদের দেশের যে কোন একটি বিমান বন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট চালু করলে আশা করি আরব আমিরাত সরকার আমাদের দেশের সঙ্গেও বিমান যোগাযোগ চালু করে দিবে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও এখনো ঢাকার সাথে বিমান চলাচল শুরু না হওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ছুটি কাটাতে আসা প্রবাসীরা। নির্ধারিত সময়ে আরব আমিরাতে পৌঁছাতে না পারলে ব্যবসা ও চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী। এমন পরিস্থিতি কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সঙ্কট সমাধান করা দরকার।
আমিরাত প্রবাসী প্রবাসী সৈয়দ আরিফ পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমিরাত সরকার বিগত জুন মাসে প্রত্যেক দেশের সরকারি মিশনকে ফ্লাইট চালুর বিষয়াবলী ধার্য করে দিয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল- প্রতিটি দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট বুথ প্রতিস্থাপন করা। ফ্লাইট চালুর ৪ ঘণ্টা আগে এই টেস্ট করতে হবে। ইতোমধ্যে পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান তাদের বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট বুথ স্থাপন করেছে। যার কারণে আমিরাত সরকার তাদের ফ্লাইট চালু করতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের সরকার এখনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট বুথ বস্তবায়ন করতে পারেননি। যার কারণে আমরা হাজার হাজার প্রবাসী দেশের ছুটিতে এসে এখনো আটকা পড়ে আছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘বিষয়টি আসলে আমাদের নয়, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। আমি যতটুকু জানি বিষয়টি সিভিল এভিয়েশন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ অবগত আছেন। তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। আমরা বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছি।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট স্থাপনের ব্যাপারে আমরা এখনো কোন নির্দেশনা পায়নি। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট