চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হতে পারে ২৪ ফেব্রুয়ারি

অনলাইন ডেস্ক

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩৪ অপরাহ্ণ

আবারো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রম বাজার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। টানা ১৬ মাস বন্ধ থাকার পর আবারো তৈরি হচ্ছে এ সম্ভাবনা। চিঠি চালাচালি আর দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে বাংলাদেশ থেকে আবারো কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। এই উদ্যোগ সফল করতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দুদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ঢাকায় বৈঠক করবেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মালয়েশিয়ার অনলাইন সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানও শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেখানকার সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে চলতি মাসেই ঢাকায় বৈঠক করবেন তারা।

বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। মধ্যপ্রাচ্যের পরে এশিয়ার এই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব আর বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের দৌরাত্ম্যে সম্ভাবনাময় এই বাজারটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। দুদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গেল সাত বছর ধরে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি। কর্মী পাঠাতে ২০১২ সালে জি টু জি পদ্ধতি, তারপর জি টু জি প্লাস, আবার জি টু জি এমন নানা পরিকল্পনা নিয়ে প্রায় পনেরো লাখ শ্রমিকদের অনলাইন নিবন্ধন করে, তা অকার্যকর হয়ে যায়। অন্যদিকে দেশটিতে আগে থেকে কর্মরত শ্রমিকেরাও অবৈধ হতে থাকে। চলে ধরপাকড়, জেল জরিমানা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুদেশের বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকরা অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় করেই কর্মী পাঠিয়ে আসছিল। কিন্তু দেশটিতে সরকার পরিবর্তনের পর জনশক্তি রপ্তানিতে এমন স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতির সন্ধান পেলে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রমবাজার বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার।

এরপর দেশটির নতুন সরকারের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করে সরকার। এবার নতুন করে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে দুদেশ। এ নিয়ে গেল বছরের ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল, পরের যৌথ কারিগরি বৈঠক হবে ঢাকায়। সে লক্ষ্যে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠক করতে ঢাকায় আসবেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে ঠিক হবে কতগুলো এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে, অভিবাসন ব্যয় কেমন হবে সব মিলিয়ে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অভিবাসন ব্যয় শূন্যে নামাতে চায় বাংলাদেশ। আর কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে চায় ।

রবিবার (২ ফ্রেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদও সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যই দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মালয়েশিয়ায় এবার শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানো হবে। আর মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের কাছে এ প্রস্তাব রাখার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট