চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রোজা : জানা-অজানা

ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, চবি

১৪ মে, ২০১৯ | ৩:০০ পূর্বাহ্ণ

কাজা ও বদলি রোজা রাখার বিধান কি ?
কাজা কখন হয়? কেউ সফরে গেলে যদি রোজা রাখতে না পারেন তাহলে অবশ্যই তাকে কাজা করতে হবে। রমজানের রোজা পালন করা ফরজ। তবে অসমর্থ হলে যারা কাজা বা ফিদইয়া দিতে পারবেন তাঁরা হলেন মুসাফির, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ, সন্তানসম্ভবা ও দুগ্ধদানকারী মা। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে রোজা রাখতে না পারলে কাজা করতে হবে। যদি খুবই কঠিন অবস্থায় রোজা রাখার ফলে জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশংকা হয় সেক্ষেত্রেও রোজা না রেখে পরবর্তীতে তাকে কাজা করতে হবে। কেউ যদি টানা পাঁচ-ছয়দিন রোজা রাখতে পারলেন না পরবর্তীতে তাকে সেই পাঁচ-ছয়টি রোজা রেখে দিতে হবে। তবে রোজার মতো সেটা ধারাবাহিকভাবে রাখা একান্ত আবশ্যক নয়। তিনি বিরতি দিয়ে রাখতে পারবেন। তবে অবশ্যই পরবর্তী রমজানের আগেই তাকে এই কাজা পূর্ণ করতে হবে।
কারো কারো মধ্যে বদলি রোজা রাখার প্রবণতা রয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। তবে নির্ভরযোগ্য কোনো গ্রন্থে এর অনুমোদন নেই। বদলা হজের কথা উল্লেখ আছে। কেউ কারো পক্ষে ওমরা আদায় করতে পারেন, কেউ কারো পক্ষে হজ আদায় করতে পারেন কিন্তু কেউ কারো পক্ষে নামাজ বা রোজা আদায় করতে পারবেন- এর সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য রেফারেন্স কোরআন ও হাদিসে নেই। রোজা রাখতে না পারার একমাত্র সমাধান হচ্ছে হয় কাজা আদায় করতে হবে, না হয় ফিদইয়া দিতে হবে। তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে রোজা রাখা বা নামাজ আদায় করার কোনো বিধান ইসলামে নেই। যুক্তিটি খুব সহজ- যেমন ডাক্তার সাহেব প্রেসক্রিপশনের ওষুধ খেতে বললেন রোগীকে; কিন্তু তা রোগী না খেয়ে যদি বন্ধুকে দায়িত্ব দেন তাহলে কি রোগ সারবে? এটি অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। ঠিক তেমনিভাবে বদলি নামাজ বা রোজা আদায়েরও সুযোগ নেই।
সংশোধনী:
গতকালের লেখায় রোজার কাফ্ফারা হিসেবে অনবধানতাবশত ৭ জন মিসকিনকে তিন বেলা খাবার প্রদানের কথা ছাপা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তা হবে ৬০ জন মিসকিনকে তিন বেলা খাবার দিতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট