কবিতা ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে চাইলেই কি মনের অভিব্যক্তি সহজে দুটো লাইনে প্রকাশ করা যায়? কবিতার অবয়ব নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। ছন্দ, চরণ, মাত্রা, পংক্তি, পর্ব……..কত্তো কী!

কবিতার সাহিত্য বিশ্লেষণ ও অলংকার নিয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট সাহিত্যবিষয়ক কর্মশালা। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে নগরীর জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের আমেরিকান কর্ণারে ইংরেজি বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় কবিতার আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা বলেন জনপ্রিয় লেখক-কবি ও অনুবাদক অধ্যাপক কায়সার হক। তিনি সৃজনশীলতা ও মনের ভাব বিকাশে কবিতা চর্চার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে শব্দভাণ্ডারকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক কায়সার হক কবিতার সাহিত্য রস, বিশ্লেষণ, ছন্দের ধরণ, অন্ত্যমিল, উপস্থাপনা শৈলী, লেখার কলাকৌশলসহ নানান বিষয়গুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলেন। এ সময় তিনি দুটি কবিতাও পাঠ করে শোনান।

পরে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভেতর পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইইউ’র স্কুল অব লিবারেল আর্টস এন্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস’র ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান সার্মেন রড্রিক্স প্রমুখ।

কর্মশালায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের অনুষ্ঠান তাদেরকে সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত হতে আরও অনেক বেশি অনুপ্রেরণা জোগাবে। কবিতার ছন্দ কেবল পাঠে নয়, জীবনের প্রতিটি স্তরেই তা প্রভাবিত করে বলে জানান কেউ কেউ।

ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী শারমিন আক্তার রুশ্নি বলেন, একটি কবিতার পেছনে যে এতো কিছু আছে তা কর্মশালায় অংশ না নিলে জানতাম না। খু-উ-ব ভালো লেগেছে। একই রকম অভিমত আরাফাত হোসাইন নামের আরেক শিক্ষার্থীরও।

কর্মশালায় কবিতাপ্রেমী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও স্কুল অব লিবারেল আর্টস এন্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস’র সব ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।-বিজ্ঞপ্তি

পূর্বকোণ/আরপি