চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) অনুষ্ঠিত ‘সমসাময়িক ইস্যু ও বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাবেক জাপান রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্রসহ বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দেশের স্বার্থরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর চীন ও ভারত সফর ইতিমধ্যে দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নগরীর জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’ (আইজিডিআইএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, অধ্যাপক, বিভাগীয় শিক্ষকরা ছাড়াও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ভূমিকা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক নীতিতে আমাদের করণীয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেন। তিনি সিআইইউ’র শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ফরেন পলিসি’ নামের একটি কোর্সও চালু করতে পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে দুই বৃহৎ শক্তি-চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্য নীতির ইতিবাচক ধারার কথা তুলে ধরেন। সম্পর্ক জোরদারে নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সিআইইউ’র উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, সম্ভাবনার পথে আগামীর বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিআইইউ’র ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের পরিচালক ড. সৈয়দ মনজুর কাদেরের পরিচালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউল আলম, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রাশেদা খানম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হক, সিআইইউ’র বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার নাহিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলামের হাতে ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য। পরে শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।-বিজ্ঞপ্তি।

পূর্বকোণ/রাশেদ